মুজাদীদ সাহেব বাসায় বসেই চুল কাটান। প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার সকাল দশটায় এক নাপিত আসে তাঁর বাসায়। মুজাদীদ সাহেবের মন-পছন্দ স্টাইলে চুল কেটে অভ্যস্থ হয়ে গেছে সেই নাপিত। কাজ শেষে মোটা বকশিস নিয়ে ফিরে যায় সে। এভাবেই চুল কাটা চলে প্রতি মাসে।
একদিন হঠাৎ কি হলো.... চুল কাটতে কাটতে নাপিত মুজাদীদ সাহেবকে জিজ্ঞেস করে বসলো...'" স্যার, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার শুরু হবে কবে?"
মুজাদীদ সাহেব বিরক্ত হলেন.." যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার দিয়ে তোমার কি কাজ? তুমি তোমার কাজ কর"। নাপিত নিজের কাজ শেষ করে সেদিনের মত চলে গেল।
পরের মাসে নাপিত আবার এসেছে মুজাদীদ সাহেবের চুল কাটতে। চুল কাটতে কাটতে আবার সেই কথা..." স্যার, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার শুরু হবে শুনতেছি"। মুজাদীদ সাহেব প্রচন্ড রাগ করলেন..ধমক লাগালেন..." এর পরে আবার কোনদিন যদি তুমি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার নিয়ে কিছু বলেছ...তো তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দেব"।
নাপিত মুখ কালা করে নিজের কাজ শেষ করে বকশিস নিয়ে চলে গেল।
এর পরের মাসে আবার মুজাদীদ সাহেবের চুল কাটতে বসেছে নাপিত..
- "স্যার, অভয় দিলে একটা কথা কই"।
- কি বলবে বলো।
- স্যার, এই সরকার কি যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করেই ছাড়বে? আপনার কি মনে হয়?
মুজাদীদ সাহেব প্রচন্ড রাগে কাঁপতে লাগলেন...দারোয়ানকে ডেকে ঘাড় ধরে নাপিতকে বের করে দিলেন.." আর কক্ষনো যেন এই লোককে আর বাসায় ঢুকতে না দেখি"।
মনটা খু-উ-ব খারাপ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে যাচ্ছে নাপিত।
দারোয়ন তাঁকে বললো...
- ভাই, কি দরকার আছিল? জানইতো স্যার এই কথায় রাগ করে! তোমাকে মানা করার পরও প্রতিবারই তুমি এই আলাপ দেও কেন?! যুদ্ধ অপরাধের বিচার দিয়া তোমার কি কাম মিয়া?!
- ভাই, আমি কি এই কথা কই সাধে?.. এই কথা কইলে আমার কামে সুবিধা হয়।
- কি রকম?!
- যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের কথা শুনলেই মুজাদীদ সাহেবের চুল খাড়া হইয়া যায়...আর তখনই আমার কাঁচি চালাইতে সুবিধা......
(অ.ট- পুরনো বোতলে নতুন তরল! পুরনো একটা জোকস্-কে একটু ঘষা-মাজা করে চালিয়ে দিলাম)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।