এটি যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত হন্টেড হাউস বা ভুতুড়ে বাড়ি। এ বাড়িটির অবস্থান উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান জোসে। বাড়ির মালিক সারাহ উইনচেস্টার নামক এক ভদ্র মহিলা। তিনি ছিলেন বন্দুক ব্যবসায়ী উইলিয়াম উইর্ট উইনচেস্টারের স্ত্রী। ১৮৮১ সালে মিস্টার উইলিয়াম এবং ১৮৬৬ সালে উইলিয়াম দম্পতির কন্যা মারা যায়।
তারা মারা যাওয়ার পর বোস্টনের এক গণমাধ্যম থেকে মিসেস উইনচেস্টারকে তার বর্তমান বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র একটি বাড়ি তৈরি করতে বলা হয়। মিস্টার উইলিয়ামের বন্দুক কোম্পানি থেকে বিক্রয় হওয়া বন্দুকের গুলিতে যারা মারা গেছেন তাদের আত্দা যাতে তার স্ত্রীর কোনো ক্ষতি করতে না পারে এর জন্য তাকে একটি বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিতে হবে। তবে শর্ত হচ্ছে, বাড়িটির নির্মাণকাজ কখনো পুরোপুরি সম্পন্ন করা যাবে না! অর্থাৎ প্রতিনিয়ত বাড়িটি নির্মাণ করে যেতে হবে এবং কখনো থেমে গেলেই মিসেস উইনচেস্টার সেই মৃত আত্দাদের দ্বারা বিপদগ্রস্ত হবেন। বলা হয়ে থাকে, তিনি যাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন তারা বাড়িটির সাততলা অবধি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দিন-রাত পরিশ্রম করেছিল। এভাবেই শুরু হয় একজন বিধবার বাড়ির নির্মাণকাজ।
১৮৮৪ সাল থেকে শুরু হয়ে টানা ৩৮ বছর দিন-রাত চলতে থাকে নির্মাণকাজ। ভদ্র মহিলা বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে বাড়িটিকেও তিনি গোলকধাঁধার মতো করে তৈরি করেছিলেন যাতে মৃত আত্দাগুলো বাড়িতে ঢুকলেও তাকে কখনই খুঁজে না পায় এবং একসময় পথ হারিয়ে ফেলে। পুরো বাড়িতে তিনি মাত্র দুটো আয়না রেখেছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, ভূতেরা তাদের নিজ প্রতিবিম্ব দেখে ভয় পায়।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। যে বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তিনি বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেন, ৩৮ বছর পর সে বিশ্বাস মৃতদের দলে যোগ দেওয়া থেকে তাকে বাঁচাতে পারেনি। এভাবে বাড়ির মালিক মৃত্যুবরণ করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটির নির্মাণকাজও আচমকা স্থগিত হয়ে পড়ে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।