ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে রক্ত সরবরাহের পরিমাণ কমে গিয়ে পা অনুভূতিহীন হয়ে যেতে পারে। এর মানে এ নয় যে, পায়ের ক্ষত কখনোই নিরাময় হবে না। আবার অনুভূতি হ্রাস মানে এ নয় যে, পায়ের আঘাত বা ব্যথা বুঝা
যাবে না। তবে ডায়বেটিক রোগীদের গ্যাংগ্রিন হওয়ার ঝুঁকি বা গ্যাংগ্রিনজনিত কারণে অঙ্গ অপসারণের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। এ ধরনের ঝুঁকিযুক্ত সমস্যাগুলো কমানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা।
নিয়মিতভাবে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেহেতু ধূমপান পায়ে রক্ত সরবাহের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তাই এটি পরিহার করা উচিত। ডায়বেটিক রোগীদের পায়ের সঠিক যত্ন নেওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ রইল।
ডায়াবেটিসে পায়ের যত্নে করণীয়
বছরে একবার ডায়াবেটোলজিস্ট পরামর্শ গ্রহণ করা : নিয়মিত ব্যবস্থাপনা ও উপদেশের জন্য ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস ক্লিনিকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
নিয়মিতভাবে পা পরিষ্কার এবং সংক্রমণ মুক্ত রাখতে হবে। সঠিক মাপের জুতা পরিধান করতে হবে, চাপা বা ছেঁড়া জুতা পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। কখনো খালি পায়ে হাঁটা যাবে না, বিশেষ করে ছুটির দিনে বাগানে বা সমুদ্র সৈকতে। নিয়মিতভাবে পায়ের নখ কাটতে এবং যত্ন নিতে হবে। পায়ের কড়া বা হার্ড স্কিনের জন্য পোডিয়াট্রিস্টের সাহায্য নিতে হবে।
পায়ের আঘাত বা ক্ষত দ্রুত না সেরে ওঠলে দ্রুত ডায়াবেটিস ক্লিনিকে যোগাযোগ করে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। পায়ে
যদি খারাপ ধরনের কোনো ক্ষতের সৃষ্টি হয় তবে
অবশ্যই জরুরিভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা নিতে হবে। বিশেষ করে ক্ষতস্থানের চারপাশে যদি লালচে ভাব বা ফোলা থাকে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত-
নিম্ন লিখিত লক্ষণগুলো
দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত : * পায়ের চামড়া ফেটে যাচ্ছে দেখলে বা খসে পড়তে দেখলে। * পায়ের চামড়ার উপরের অংশের ত্বক পরিবর্তিত হয়ে আরও লাল, নীল, ফ্যাকাসে বা কালচে আকার ধারণ করলে।
* পায়ের আগের ক্ষতস্থানে
আরও ফোলা ভাব দেখা দিলে।
লেখক : কো-অর্ডিনেটর অ্যান্ড সিনিয়র কনসালটেন্ট, এ্যাপোলো ডায়াবেটিস ক্লিনিক, এ্যাপোলো
হসপিটালস, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৩৪৭৯৮৮৬
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।