নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে। (সাভার শ্রমিক গণহত্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন
প্রত্যাখ্যান করেছে বাম মোর্চা ও বাসদ)
সাভারের শ্রমিক গণহত্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির
প্রতিবেদনকে মালিকের স্বার্থ রক্ষাকারী আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা-এর কেন্দ্রীয়
পরিচালনা পরিষদ এবং বাসদ- এক সভার প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। আজ
২৩ মে বেলা ১২টায় বাম মোর্চার অস্থায়ী কার্যালয়ে কমরেড মোশরেফা মিশুর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা
কমরেড সাইফুল হক, কমরেড আব্দুস সালাম, কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু,
কমরেড হামিদুল হক এবং বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সভার প্রস্তাবে গতকাল মীরপুর ১০ নাম্বারে বাম মোর্চা ও বাসদের
শ্রমিক সমাবেশে পুলিশি বাধা ও নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, ওই গ্রেফতারের খবর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে
প্রচারিত হয়েছে যে বাম মোর্চা ও বাসদ নেতৃবৃন্দ মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে
ছাড়া পেয়েছেন, যা মোটেও সত্য নয়। প্রস্তাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিôমূলক
তথ্য প্রচার না করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের
প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভার অপর এক প্রস্তাবে মিছিল সমাবেশের উপর সরকারের অগণতান্ত্রিক
ফ্যাসিবাদী নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জোর দাবি
জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ মাত্রেই জানেন
যে সাভারের রানা প্লাজায় ভবন ধসে প্রায় ১২শত শ্রমিকের মৃত্যু এবং
সহস্রাধিক শ্রমিকের চিরতরে পঙ্গু হওয়া, অসংখ্য শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনাটি
সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট। অর্থাৎ ভবন মালিক ও গার্মেন্টস মালিকদের দ্বারা
সংগঠিত।
ফলে একে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর সুযোগ নেই। এটি
একটি গণহত্যা। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির
প্রতিবেদনে বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা
মালিকপক্ষের হয়ে নির্লজ্জ দালালি ছাড়া আর কিছু নয়। এ প্রতিবেদনের ফলে
দায়ী মালিকদের পক্ষে কোনো রকম শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাবার সুযোগ তৈরি
হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমনভাবে মন্তব্য করা হয়েছে
যাতে মনে হতে পারে তারা বিচারিক দায়িত্ব পালন করছেন, যা কমিটির এখতিয়ার
বহির্ভূত।
মালিকদেরকে রক্ষার এই হীন প্রচেষ্টা দেশের শ্রমজীবী মানুষ, বাম
গণতান্ত্রিক শক্তি কোনোভাবেই মেনে নেবে না। সভার প্রস্তাবে অবিলম্বে এ
প্রতিবেদন বাতিল করে হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে নতুন করে
তদন্তের দাবি করা হয়।
সভার প্রস্তাবে শ্রমিক গণহত্যার বিচার, দায়ী মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি, নিহত-আহতদের সারাজীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান,
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা প্রদান, ট্রেডইউনিয়ন অধিকারসহ
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার
জন্য বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বার্তা প্রেরক
মোশরেফা মিশু, সমন্বয়ক, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা
সাভার শ্রমিক গণহত্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন
প্রত্যাখ্যান করেছে বাম মোর্চা ও বাসদ
সাভারের শ্রমিক গণহত্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির
প্রতিবেদনকে মালিকের স্বার্থ রক্ষাকারী আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা-এর কেন্দ্রীয়
পরিচালনা পরিষদ এবং বাসদ- এক সভার প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
আজ
২৩ মে বেলা ১২টায় বাম মোর্চার অস্থায়ী কার্যালয়ে কমরেড মোশরেফা মিশুর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা
কমরেড সাইফুল হক, কমরেড আব্দুস সালাম, কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু,
কমরেড হামিদুল হক এবং বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সভার প্রস্তাবে গতকাল মীরপুর ১০ নাম্বারে বাম মোর্চা ও বাসদের
শ্রমিক সমাবেশে পুলিশি বাধা ও নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, ওই গ্রেফতারের খবর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে
প্রচারিত হয়েছে যে বাম মোর্চা ও বাসদ নেতৃবৃন্দ মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে
ছাড়া পেয়েছেন, যা মোটেও সত্য নয়। প্রস্তাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিôমূলক
তথ্য প্রচার না করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের
প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভার অপর এক প্রস্তাবে মিছিল সমাবেশের উপর সরকারের অগণতান্ত্রিক
ফ্যাসিবাদী নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জোর দাবি
জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ মাত্রেই জানেন
যে সাভারের রানা প্লাজায় ভবন ধসে প্রায় ১২শত শ্রমিকের মৃত্যু এবং
সহস্রাধিক শ্রমিকের চিরতরে পঙ্গু হওয়া, অসংখ্য শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনাটি
সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট। অর্থাৎ ভবন মালিক ও গার্মেন্টস মালিকদের দ্বারা
সংগঠিত। ফলে একে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর সুযোগ নেই। এটি
একটি গণহত্যা। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির
প্রতিবেদনে বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা
মালিকপক্ষের হয়ে নির্লজ্জ দালালি ছাড়া আর কিছু নয়।
এ প্রতিবেদনের ফলে
দায়ী মালিকদের পক্ষে কোনো রকম শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাবার সুযোগ তৈরি
হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমনভাবে মন্তব্য করা হয়েছে
যাতে মনে হতে পারে তারা বিচারিক দায়িত্ব পালন করছেন, যা কমিটির এখতিয়ার
বহির্ভূত। মালিকদেরকে রক্ষার এই হীন প্রচেষ্টা দেশের শ্রমজীবী মানুষ, বাম
গণতান্ত্রিক শক্তি কোনোভাবেই মেনে নেবে না। সভার প্রস্তাবে অবিলম্বে এ
প্রতিবেদন বাতিল করে হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে নতুন করে
তদন্তের দাবি করা হয়।
সভার প্রস্তাবে শ্রমিক গণহত্যার বিচার, দায়ী মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি, নিহত-আহতদের সারাজীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান,
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা প্রদান, ট্রেডইউনিয়ন অধিকারসহ
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার
জন্য বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বার্তা প্রেরক
মোশরেফা মিশু, সমন্বয়ক, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।