অনেকবার চেষ্টা করেছি কলম আর ক্যামেরার দাসত্ব থেকে বের হয়ে যেতে..কিন্তু পারি নি....পারবো কিনা জানি না---এভাবেই হয়তো চলবে...
আজ থেকে প্রায় বছর ছয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমের অনলাইন সংষ্করণ নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময়ে হাতে গোনা মাত্র ৩/৪টি ২৪ ঘন্টার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছিল। সবগুলোর মাঝেই সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু সময়ই যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে অনলাইন পত্রিকার সংখ্যা। কমছে অনলাইন পত্রিকাগুলোর কোয়ালিটি।
এখন আবার কর্পোরেট প্রতিষ্টানগুলো নিজেদের সংবাদ প্রচারের জন্য নিজ উদ্যোগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করেছেন। এ তালিকা থেকে বাদ যায়নি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপিরাও। এখন যা শুরু হচ্ছে ....
০১. আগে যিনি পত্রিকার ডিজাইনার ছিলেন, কিংবা সার্কুলেশন ম্যানেজার ছিলেন তারাও এখন অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক
০২. ওয়েবসাইট ডিজাইনরা সম্পাদক
০৩. হোমিওপ্যাথি ডাক্তার থেকে শুরু করে হোটেলের মালিকও প্রকাশক সম্পাদক
যা থাকছে ...
০১. কপি এবং পেস্ট
০২. কুরুচিপূর্ণ শিরোনাম
০৩. অসঙ্গতিপূর্ণ ছবি কিংবা লেখা
০৫. স্পামিং
০৬. কর্পোরেট পাল্টাপাল্টি সংবাদ
০৭. নির্বাচনী কিংবা প্রচারণা মূলক সংবাদ
০৮. এই ধরণের আরো....
যা হচ্ছে ...
০১. মাঝারি আকারে প্রফেশনাল সংবাদ পোর্টালগুলো আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে
০২. অপসাংবাদিকতা বাড়ছে
০৩. তরুণ সংবাদকর্মীদের মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
০৪. বিজ্ঞাপন মূল্য একবোরে সস্তা করে ফেলা
০৫. নাম সর্বস্ব বিভিন্ন সংগঠন তৈরী হচ্ছে
যা করা প্রয়োজন :
০১. অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের জন্য সরকারী নীতিমালা প্রয়োজন
০২. সম্পাদকের এর সাংবাদিকতার যোগ্যতা বিবেচনা আনা প্রয়োজন
০৩. প্রয়োজন একটি সংগঠন (ইতিমধ্যে একটি সংগঠন গঠন হয়েছে... যা অনেকটাই আমার ব্যক্তিগত মনমতো হয়েছে -অ্যাসোসিয়েশন অব অনলাইন জার্নালিস্ট’স (এওজে) [Association of Online Journalists (AOJ))
সময় স্বল্পতায় কারণে....এতটুকু...। । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।