লাজুক প্রকৃতির অসভ্য বালিকা
এখন দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গণে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে সরকারী দলের একটি ছাত্রসংগঠন। শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতায় ছাত্রলীগের ভুমিকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। আর যদি সেটা নাইবা হবে তাহলে যে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে তার সাথে ছাত্রলীগ থাকবে কেন? সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত এর সাথে ছাত্রলীগ একটি অপরিহার্য ভুমিকা পালন করছে । বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাত্রলীগের নামটি উঠে আসছে।
লাগামহীন ছাত্রলীগের লেজ টেনে ধরতে পারছে না প্রধানমন্ত্রী। আর এই ব্যর্থতার দায় ভার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অতি কৌশলে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রধানের পদ থেকে সরে দাড়ালেন। কিন্তু এতে কি তিনি মুক্তি পেয়েছেন? তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। এই যে গত কয়েকদিন আগে ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের নেত্রীরা কি কান্ডটি নাই ঘটালেন! এছাড়া প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন যশোর ছাত্রলীগের নেতা রিপন। চলে গেছে রিপন।
কিন্তু কেউ কি তার পরিবারকে সান্তনা দিতে পারবেন? আর শান্তনা দিলে কি বলে দিবেন? তার ভাষা কি আমরা খুজে পাব? এভাবে দেশের প্রতিটি এলাকায় , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের বলি হচ্ছেন প্রতিপক্ষ অথবা সাধারণ ছাত্ররা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো নির্বোধ মহিলারা বলছেন এটা কোনো ব্যাপার না। তবে প্রধানমন্ত্রী কি এটা বুঝতে পারছেনা যে ক্ষমতা গ্রহনের পরই ছাত্রলীগ লাগামহীন হয়ে পড়ছে। আর এদের সামলাতে তাঁর ভুমিকাই বেশি হতে হবে। ক্যাম্পাসকে তথা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাঙ্গনকে স্থিতিশীল রাখতে হলে ছাত্রলীগকে সামলানোর কোনো বিকল্প নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।