হাফিজুর রহমান
কোথাও পড়েছিলাম বিজ্ঞান হলো কলা বা আর্টস বোঝার উপায়। Golden ratio অনেক আর্টিষ্ট হয়তো অজান্তেই ব্যবহার করেছেন। কিন্তু বিজ্ঞানের সুত্র দিয়ে সেটার দৃষ্টিনন্দনতার একটা ব্যাখ্যা কিছুটা হলেও পারছে। আইনস্টাইন প্রকৃতির নিয়মনিষ্ঠার কথা ভেবেই বলেছিলেন ইশ্বর পাশা খেলেন না।
যাই হোক, আসল কথায় আসি।
আমাদের থিতু হয়ে আসা পৃথিবীতে আমরা সময়কে ধ্রুব ভাবতে অভ্যস্ত। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ এসে জানিয়ে দিলো, সময় আসলে ধ্রুব না। সাধারন আপেক্ষিতাবাদ অনুসারে অধিক অভিকর্ষবিশিষ্ট এবং অধিক গতিসম্পন্ন বস্তুর সাপেক্ষে সময় আস্তে চলবে। যাকে বলা হয় টাইম ডাইলেশন।
এবার মহাবিশ্বের শুরুর কথা কল্পনা করি।
তখন স্পেস ছিলো শুন্য বা শুন্যের কাছাকাছি, কিন্ত কল্পনাতীত অভিকর্ষ এবং অত্যাধিক গতি।
উপরের সূত্রে c আলোর গতি, v হলো ব্স্তুর গতি। বস্তুর গতি যদি 0.99c হয়, তাহলে মহাজাগতিক সময় (গতিশীল ব্স্তর সাপেক্ষে যে সময়) আমাদের পার্থিব সময়ের (আমাদের স্থানীয় রেফারেন্সের সাপেক্ষে যে সময়) ৭ গুন! বস্তুর গতি 0.9997c হলে 40 গুন, 0.999 999 999 95c হলে 200,000 গুন। 0.999 999 999 999 999 999 999 999 5 c হলে? এক মিলিয়ন মিলিয়ন গুন (১০ এর ১২তম পাওয়ার)।
কাজেই সরল অংক করলে মহাজাগতিক সময়ের শুরুর ৬ দিন, পার্থিব সময়ের ৬মিলিয়ন মিলিয়ন দিন।
6,000,000,000,000 দিন/365.25 = 16.427104723 বিলিয়ন বছর।
অবশ্য মহাবিশ্ব যেহেতু প্রসারিত হচ্ছে, মহাজাগতিক সময়ের সাথে পার্থিব সময়ের অনুপাত কমে আসবে (হাবল ধ্রবক)। এবং সেটা বিবেচনায় আনলে মহাবিশ্বের বয়স বিজ্ঞানীদের বর্তমান ধারনা (১৪ বিলিয়ন) এর কাছাকাছিই হবে।
"নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।
অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। (সুরা আল আরাফ: ৫৪)"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।