দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় ৫ মার্চ তারিখের একটি সংবাদ পড়ে আমার এই লেখার অবতারনা-
সংবাদটিতে সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে নিজ দলের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও গোলাম মওলা রনি কর্তৃক প্রকাশ্যে দূর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী উক্ত সাংসদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং বাড়াবাড়ি করলে তাদের দল থেকে বহিস্কারের হুমকিও দিয়েছেন। তাহলে কী কেউ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও বলতে পারবে না?
এই সরকার জনগনের অনেক প্রত্যাশা পুরনের কথা বলে ক্ষমতায় আসলেও এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছুই করেনি । দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব, শিক্ষাঙ্গণে হানাহানি চলছেই। সামনে গরমের দিন আসছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতেও সরকার জনগনকে আস্বস্ত করতে পারেনি, সরকারের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উপদেস্টা জনগনকে লোডশেডিং এর যন্ত্রণা সহ্য করার জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। সরকার দেশের স্বার্থের পরিপন্থী পিএসসি চুক্তির মাধ্যমে গত অনাকাঙ্খিত তত্বাবধায়ক সরকারের ধারাবাহিকতায় সাগরের গ্যাস সম্পদ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকারের অন্যতম একটি বিষয়। কিন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকার অযথা কালক্ষেপন করছে। এ ক্ষেত্রেও সরকারের আন্তরিকতায় সন্দিহান হওয়া অযৌক্তিক হবে না।
সরকারের ব্যর্থতা ও গনবিরোধী অবস্থানের এই যখন নমূনা, সেখানে প্রধানমন্ত্রী সত্যিই দেশের কল্যাণ চাইলে তার নিজ দলের সাংসদদের এইভাবে টুটি চেপে না ধরে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ ছিলো বলেই সাধু মতের ভাবনা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।