অতৃপ্তি খানিকটা রয়েই গেল। শচীন টেন্ডুলকারের বিদায়ী মঞ্চে মঞ্চস্থ একেপেশে নাটকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে গেল ইনিংস ব্যবধানে। মাত্র আড়াই দিনে সাঙ্গ হওয়া টেন্ডুলকারের বিদায়ী টেস্টটা রেখে গেল প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন শূন্যতা, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে না পারার আক্ষেপ। এই আক্ষেপ আর শূন্যতা নিয়েই ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদায়’ বলল ক্রিকেট বিশ্ব। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মাত্র আড়াই দিনে ক্যারিবীয়রা ইনিংস ও ১২৬ রানে হেরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটল ক্রিকেট ইতিহাসের এক অধ্যায়ের।
আর কোনো দিন ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে ‘খুন’ করতে দেখা যাবে না কিংবদন্তিকে, আর কোনো দিন ‘লিটল মাস্টারে’র ব্যাটিং-সুধা মোহগ্রস্ত করবে না ক্রিকেটপ্রেমীদের। ক্রিকেটের ইতিহাসে শচীন টেন্ডুলকার আজ থেকে অতীত।
আবেগের এই টেস্ট ম্যাচটি যে একপেশে হতে যাচ্ছে, সেটা জানা হয়ে গিয়েছিল প্রথম দিনেই। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলে সবাই প্রমাদ গুনেছিলেন আরও একটি একপেশে টেস্টের। কেউ কেউ শঙ্কিত ছিলেন শেষ টেস্টে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং ঠিকমতো উপভোগ করার বিষয়েও।
সেদিক দিয়ে অবশ্য একটা তৃপ্তির দিক আছে। নিজের শেষ টেস্ট ইনিংসে তিনি খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও সেই আক্ষেপ ছাড়িয়ে হাহাকার ছড়িয়েছে টেন্ডুলকারকে আরও একটি ইনিংসে ব্যাট হাতে না দেখতে পারার দুঃখটি।
শচীন টেন্ডুলকারের ৭৪ রানের ইনিংসে ঢাকা পড়েছে চেতেশ্বর পুজারা আর রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি দুটি। অভিষেক সিরিজে পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করার বিশেষ কীর্তি গড়েও রোহিত নিশ্চয়ই খুশি টেন্ডুলকারের ছায়ায় বন্দী থাকতে।
দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রজ্ঞান ওঝার ১০ উইকেটও খুব একটা আলোচনায় নেই ক্রিকেট গ্রেটের বিদায়ী টেস্টে। কিংবদন্তির বিদায় যে ভুলিয়ে দিয়েছে অন্য সবকিছুকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।