আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বরাজনীতির নগ্ন থাবায় কাঠের পুতুল আমরা

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ঠ মুক্তি সেখানে অসম্ভব

বিশ্বরাজনীতির নগ্ন থাবার বলি হচ্ছে বিজ্ঞান এবং সাথে সাথে আমাদের মত গরীব দেশ গুলো। বিশ্বের সকল শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও রাস্ট্রগুলো তাদের ইচ্ছাগুলো চালাচ্ছে বিজ্ঞানকে। বিজ্ঞান একদিকে যেমন মানুষের জীবনের জন্য ব্যবহার করা হয় তার চেয়েও বেশী ব্যবহার করা হয় মানুষকে মারার কাজে। এখন সারাবিশ্বে চলছে শক্তির মহড়া। কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন দেশ দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন করে তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে।

গতকাল জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য যে ভূল ছিল সেটা নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম না দেখলে দেখতে পারেন ইত্তেফাকের এই নিউজ টা পড়ে এখন বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কারন এখন শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য নিজেদের ইচ্ছামত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট দেয়। সেগুলোও আমরা গাধার মত বিশ্বাস করি। বিশ্বাস না করে উপায় কি ? এখন চাঁদে যাওয়া নিয়ে নানান প্রশ্ন আবার ৯-১১ নিয়ে নানান মুনির নানান মত এখনও আমরা অনেক বড় বড় ঘটনা খুব সুন্দর বিশ্বাস করে বসে আছি। ৫০ বছর পর দেখা যাবে এতদিন যা জেনেছি সব ভূল।

সবকিছুর পেছনে নগ্ন রাজনীতি চর্চা। আমি এক ব্লগার ভাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে আমেরিকা আরো বড় সন্ত্রাসী। তাই নয় কি ? কারন ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান কর্তৃক যত মানুষ হত্যা হয় আমেরিকা ও তার মিত্র বাহিনী দ্বারা তার চেয়েও বেশী মানুষ মারা যায়। আমার সেই ব্লগার ভাইটি তখন বলল আমেরিকা যেমন মানুষ হত্যা করে তার চেয়েও বেশী সাহায্য করে। হ্যা ঠিক ।

এটা হচ্ছে আমেরিকার রাজনীতির একটি পন্থা । তারা তাদের অন্যায় কাজগুলোকে হালাল করার জন্য এই সাহায্য করছে। ইরাক , আফগানিস্তানে ঘাটি পাতা ন্যাটো বাহিনীর উপর তালেবানদের আক্রমনকে আমি অন্যায় কিছু দেখি না কারন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে অন্য একটি রাষ্ট্রের সামরিক ঘাটি কখনই কেউ মেনে নিবে না যেমনটা মেনে নেয় নি আমাদের সূর্যসেন ও ক্ষুদিরামের মত ব্যাক্তিরা। বিশ্বরাজনীতিতে "সন্ত্রাসী" শব্দটা আসলে আপেক্ষিক। সবসময় "সন্ত্রাসী" শব্দটা ডিফাইন করে জয়ী দল হোক সে ভাল না হয় মন্দ।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিদের কাছে আমরা ছিলাম সন্ত্রাসী, ভারতের কাছে উলফারা, শ্রীলংকার কাছে তামিল টাইগাররা, ইসরাইলের কাছে ফিলিস্তিনেরা, চীনের কাছে তিব্বতীরা তেমনি একই ভাবে আমেরিকার কাছে আফগান, ইরাকিরা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমেরিকানদেরও একসময় সন্ত্রাসী বলা হত যখন আমেরিকানরা স্বাধীনতার জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল। আমি জানি আমার লেখা দ্বারা কিছুই হবে না। হঠাৎ করে মনে পড়ল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।