নুয়্যর্কে নাকি প্রতিদিন ১৬ লাখ লোক ফ্রী খাবার খাইতে লঙ্গরখানায় লাইনে দেয়। আমার কেমুন জানি বিশ্বাস লয় না। ম্রীকা না স্বপ্নের দেশ। কেমতে কি????
দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে অবলম্বনে খবর দিছে প্রথম আলো
নিউইয়র্কে ক্ষুধার্তদের ভিড়
নিউইয়র্কে একটি ছোট শেয়ার বেচাকেনার প্রতিষ্ঠানে হিসাবনিকাশ রাখার কাজ করতেন বারবারা ওয়াস। গত অক্টোবর মাসে তিনি চাকরিটি হারান।
এরপর থেকে তিনি নগরে হোলি অ্যাপৌসল চার্চের চালু করা লঙ্গরখানা থেকে যে স্যুপ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়, তা খেয়েই বেঁচে আছেন। হোলি অ্যাপৌসল চার্চের এ কর্মসূচির প্রধান রেভারেন্ড এলিজাবেথ ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, তিনি দেখেছেন দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা রোজ বাড়ছে। চার্চটিতে প্রতিদিন এক হাজার ২৫০ জনেরও বেশি দরিদ্র লোক খাবারের জন্য ভিড় জমায়।
এ চিত্র শুধু ওই চার্চটির নয়—দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা জানিয়েছে, নিউইয়র্কের ফুড ব্যাংকের জরুরি খাদ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। না।
ওই লঙ্গরখানাগুলোর সামনে রোজ সব মিলিয়ে ১৩ লাখেরও বেশি লোকের লম্বা লাইন দেখা যায়। খাবারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে তারা।
২০০৩ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত নিউইয়র্কে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। প্রতিদিন গৃহহীন এবং শিশুরাই খাবারের অপেক্ষায় বেশি ভিড় জমায়। নিউইয়র্কে অর্ধেকেরও বেশি শিশু খাদ্যের সংকটে রয়েছে।
ব্রুনক্সে একটি বাজারে বিনা মূল্যে খাবার পেতে হাজার হাজার শিশু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা এত বেশি যে, তাদের পেট ভরাতে রেস্টুরেন্ট থেকে অতিরিক্ত খাবারের বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। গত কয়েক বছরের দিকে তাকালে ক্রমাগত ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির যে চিত্র দেখা যায়, তা রীতিমতো ভয়াবহ।
২০০৮ সালে খাবারের জন্য দাতব্য সংস্থাগুলোর সামনে ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। তাদের ভিড় সামলাতে দাতব্য সংস্থাগুলোর খাবার ঘর খোলার সময় কিছুটা এগিয়ে দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। গত বছর লঙ্গরখানা থেকে ক্ষুধার্তদের মধ্যে খাবার বণ্টনের জন্য স্ট্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। নিউইয়র্কের ১৬ লাখ মানুষের কাছে এ ধরনের খাবারের স্ট্যাম্প রয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক লোকের খাবারের বন্দোবস্ত করতে গিয়ে হোলি অ্যাপৌসল চার্চের তহবিলেও টান পড়েছে। চার্চের রান্নাঘর ও ভাঁড়ার ঘরে ২০১০ সালের মধ্যে খাবারের উত্পাদন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিউইয়র্কের ক্ষুধা বিপর্যয় নিরসনকারী সংস্থা নিউইয়র্ক হাঙ্গার ক্যাটাসট্রফে এভোয়েডেড।
এককালের বিত্তশালী নগর হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্কের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত। অনেকেই চাকরি হারিয়ে গরিব হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অনাহারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। আর ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ ও দাতব্য সংস্থাগুলো। দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।