স্বপ্ন দেখি আকাশের নীল চুরি করব। একসময় প্রচলিত ছিল: বাঙালি নাকি ঘরকুনো জাতি। কিন্তু রাজা রামমোহন রায় প্রথম বিলেতে যাত্রা করে শুরু করেছিলেন বাঙালির বিশ্বজয়। এরও অনেক আগে তিব্বতে ধর্মপ্রচারে গিয়েছিলেন বিক্রমপুরের ছোকড়া অতীশ দীপঙ্কর। এরপরে বাঙালিরা জয় করেছে বিশ্বের প্রতিটি কোনা।
জ্ঞান বিজ্ঞানের সব শাখা, ভ্রমনে বাংলার মাঠি, দানা পানি খেয়ে বেড়ে ওঠা ছেলেরা স্পর্শ দিয়েছে তাদের বাহাদুড়ি।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনে যখন সারা বাংলাদেশ আন্দোলিত তখন কেন বসে থাকবে বিদেশী পড়ুয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
এমন কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করে তাদের মন্তব্য প্রকাশ করা হয় দৈনিক প্রথম আলোর স্বপ্ন নিয়ের পাতায়।
ষেখানকার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য লাইন হলো:
যাঁরা শাহবাগে বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়েছেন, আমি তাঁদের মন থেকে সমর্থন দিচ্ছি। আমি যদি শাহবাগে দাঁড়াতে পারতাম!
—শিহান সাজিদ, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু, কানাডা।
প্রবাসে পড়তে এসে প্রতিনিয়ত মন থেকে শাহবাগ আন্দোলনে যোগদান করে চলেছি। জয় আমাদের হবেই।
—মাইশা তাসনিম, ইউনিভার্সিটি অব ওলংগং, দুবাই।
৪২ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর সময় হয়েছে এখন।
—সাজেদুর আকন্দ, ওহাইও স্টেস্ট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭১ সালে মা এবং মাটির সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তারা কোনোক্রমেই ক্ষমার যোগ্য নয়।
রাজাকারদের ফাঁসি চাওয়াটা যে শুধু বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দাবি তা নয়, এ দাবি মানবিকতাবোধের, এ দাবি বাংলার আপামর জনতার।
—মাহমুদুল হক, ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি, কানাডা।
এ মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় আফসোস হচ্ছে শাহবাগে সক্রিয় না থাকতে পারা। তবে সশরীরে থাকতে না পারলেও মনটা ঠিকই পড়ে আছে। শাহবাগে আন্দোলনরত সব মানুষের সঙ্গে আমিও গলা মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
—সামিন রিয়াসাত, ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, যুক্তরাজ্য।
প্রযুক্তির কল্যাণে মুহূর্তেই জেনে যাচ্ছি শাহবাগে কী হচ্ছে। ইস! এখন আমি যদি শাহবাগ থাকতে পারতাম!
—সিয়াম মোশাররফ হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টন, যুক্তরাষ্ট্র।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শব্দটার অর্থ আমি আমার মতো করে বুঝি। আমি জানি, এর মানে কিছু নরপিশাচকে আরও বহুদিন আদর-যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখা।
এতে ওদের সহযোগীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। কারণ, ওরা জানবে শত শত খুন করেও বেঁচে থাকা যায়। তাই সারা বিশ্বের সব জাগ্রত বাঙালির সঙ্গে আমরাও বিচারের দাবিতে একাত্ম।
—চমক হাসান, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র।
মূল লেখা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।