আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমপ্লেন দেবেন? যাঁর কাছে ইচ্ছা, কমপ্লেন করেন।

সপ্ন দেখি সবসময় facebook.com/FaizulFaysal

পানি বিক্রি করেন আবুল হাসেম। রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদের পূর্ব পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ওয়াসার যে পানির পাম্প, তার অপারেটর তিনি। এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রেখে তারপর পানি বিক্রি করেন আবুল হাসেম। পানির পাম্প এলাকায় গিয়েই শোনা গেল তাঁর চিত্কার: ‘পানি বিক্রি করতাসি বলে কমপ্লেন দেবেন? যাঁর কাছে ইচ্ছা, কমপ্লেন করেন। আমার কিছুই অইব না।

কেউ কিচ্ছু করতে পারব না। ’ কাছে গিয়ে জানা গেল, পানি সরবরাহ বন্ধ করে হাউস থেকে পানি বিক্রি করায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এলাকার একজন বাসিন্দা। জবাবে এভাবেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হাসেম। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পানির পাইপের চাবি বন্ধ রেখে স্থানীয় রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকানসহ অন্য দোকানপাট এবং ওয়াসার গ্রাহক নন, এমন কিছু ব্যক্তির কাছে নিয়মিত পানি বিক্রি করেন তিনি। এ জন্য কারও কাছ থেকে মাসোহারা, কারও কাছে নগদ টাকা নেন তিনি।

তিনি নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক একজন প্রভাবশালী প্রকৌশলীর আত্মীয় বলেও পরিচয় দেন। হাসেমকে পরিচয় না দিয়ে পানি বিক্রি নিয়ে জানতে চাইলে উদ্ধতভাবেই জবাব দিলেন, কোনো অন্যায় করছেন না। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে স্বীকার করেন, ছোট বোতল নিয়ে কেউ এলে তিনি বিনামূল্যেই পানি দেন। তবে বড় পার্টি এলে কিছু পয়সা নেন। ইচ্ছাকৃতভাবে পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা ও পানি বিক্রির বিষয়টি ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানে কি না, প্রশ্ন করলে কোনো জবাব দেননি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গরমের সময়ে পানি থাকে না বলে উত্পাদন কম। কিন্তু শীতকালেও তাঁরা পানির কষ্টে থাকেন। গভীর নলকূপের পাম্পটিও নষ্ট নয়। পানি সরবরাহের জন্য পাইপলাইনগুলোও মোটামুটি ভালো ও চওড়া। কিন্তু সরবরাহ পাইপের চাবি বন্ধ রেখে বাণিজ্য করছেন হাসেম।

এলাকার বাসিন্দা আবদুর রশিদ জানান, যখন আবুল হাসেমের ডিউটি থাকে না, তখন পাম্প হাউসে গিয়ে বিনামূল্যেই পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু হাসেম টাকা ছাড়া কথাই বলেন না। সরেজমিনে দেখা যায়, পানির বোতল, জার, বালতি নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেকে। প্রতি জনের কাছ থেকে কমপক্ষে ১০ টাকা করে নিচ্ছিলেন হাসেম। গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর আলোকচিত্রী ছবি তুলতে গেলে টের পেয়ে পাম্পের ফটকে তালা দিয়ে সরে পড়েন তিনি।

এ সময় বাইরে থেকেই দেখা যায়, পাম্পের ভেতরে একটি পাইপ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। অথচ বৈধ গ্রাহক হয়েও অনেক এলাকাবাসী পানি পান না। এলাকাটি ওয়াসার তিন নম্বর অঞ্চলের অধীন। এলাকাবাসীর পানি না পাওয়া এবং পানি বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন করলে অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। বিষয়টি জানানো হলে নাজমুল হক বলেন, তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নেবেন।

অনিয়ম পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.