আয়োডিন একটি রাসায়নিক নাম। এটি থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের উপাদান। থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান গলার সামনের দিকে। থাইরয়েড থেকে নিঃসৃত হরমোন রক্তের মাধ্যমে চলাচল করে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কাজ করে থাকে। যেমন- মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশ এবং পরিচালনা করা, শরীরের কোষ থেকে তাপশক্তি উৎপাদন করা, হাড় ও চুলের বৃদ্ধি, দেহের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করা, গর্ভস্থ সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধিসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
আমাদের শরীরে যখন আয়োডিনের অভাব দেখা যায় তখন এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি হতে পারে না-এর প্রভাবে দেহে আয়োডিনের অভাবজনিত বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন- গর্ভবতী মহিলার আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে গর্ভপাত অথবা সন্তানের মধ্যে জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি থাকতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাব হলে হতে পারে- গলগণ্ড, মানসিক প্রতিবন্ধী কিংবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গসহ আরো নানা রকম সমস্যা। আর বয়স্করা গলগণ্ড, থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিকতা ছাড়াও মানসিক দক্ষতা হারাতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে আয়োডিন মাটি, পানি, কিছু উদ্ভিদ থেকে আয়োডিন পাওয়া যায়।
তবে তার পরিমাণ আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ০.০৭৫ মিলিগ্রাম আয়োডিন গৃহীত হলে কোন সমস্যা দেখা যায় না। এই সমস্যা সমাধানের সহজতম উপায় হল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়োডিনযুক্ত খাবার বাড়ানো। আমাদের দেহে বেশি পরিমাণে আয়োডিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। তাই প্রয়োজন নিয়মিতভাবে আয়োডিনযুক্ত খাবারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করা।
যেমন- আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।