wanna know and show everything I can......
ভোরটা ছিল ১৩ ডিসেম্বর,০৯, রবিবারের। তাপমাত্রা ছিল ২ এর কাছাকাছি। SAARC Study Tour,09 এর অংশ হিসেবে ঘুরে আসা। তখন ভোর ৩ টা(হয়তো শীতের মাঝরাত) দার্জিলিং থেকে টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া। পানি এতো ঠান্ডা যে কেউ গোসল করা কেন প্রকৃতির কাজ করতেও সাহস করতাম না।
যার কারনে খাবার খুব অল্প পরিমানে খেতাম। আর বেডের লেপ তোশক দেখলে মনে হতো সবে বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। যাই হোক সেই কনকনে শীত উপেক্ষা করে আমরা টাইগার হিলে গেলাম। যাওয়ার আগে মনে হয়েছিলো হয়তো শুধু আমরা এতো ঠান্ডার মঝে অনর্থক ঘুরতে যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় নামার সাথে সাথে মনে হলো আমরা মনে হয় দেরি করে ফেলেছি।
সবাই হয়তো আমাদের অনেক আগে গিয়ে জায়গা দখল করে রেখেছে। রাস্তা ছিল একদম আকাবাকা ঠিক যেন সাপের মতো, আর খুব স্টিপ। অন্ধকারের কারনে যাওয়ার পথে রাস্তার তেমন কোন মাহাত্ব্য চোখে পড়েনি। অনেকগুলো গাড়ির লাইন দেখে মনে মনে খুব ভালো লাগলো। অবশেষে আমরা টাইগার হিলের চূড়ায় গিয়ে পৌছি।
গিয়ে দেখি সবটায় কানায় কানায় ভরে গেছে। এখন উপরে এসেছি যখন সূর্যোদয়তো ভালোমতো উপভোগ করতে হবে। তাই খুব কষ্ট করে লোকজন ঠেলতে ঠেলতে লোকজনের মাঝ দিয়ে একদম কিনারায় গিয়ে দাঁড়ালাম যেখান থেকে সূর্যোদয় ভালো দেখা যাবে। যেই না কিনারায় গিয়ে দাঁড়ালাম মনে হলো আমি বরফের পানিতে ডুব দিলাম। হাত, পা সব জমে গেছে।
কানের পর্দা ঢেকে গেছে। কনকনে হিমেল বাতাস বইছিলো। মাঝখানে ভাবলাম গাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ি। কিন্তু সবাই যেভাবে কম্পিটিশনের মতো জায়গা দখলের চেষ্টা করছে তা দেখে আমি আমার জায়গা থেকে আর নড়লামনা। সাথে ছিল বন্ধু বেরুনি, বাকী, আলম।
সবাই একসাথে গাদাগাদি করে দাঁড়ালাম যেন বেশি শীত না লাগে। এভাবে প্রায় ঘন্টা দেড়েক অপেক্ষা করার পর দিগন্তের মাঝ থেকে লাল আভা বের হতে লাগলো। আমরা সবাই উন্মূখ হয়ে চেয়ে থাকলাম কখন দেখা মিলে কাংখিত বস্তুটির। দৃষ্টি ছিলো আমার একদম দূর কিনারায়। কিন্তু সূর্যোদয় হলো মাঝখান থেকে।
ঠিক যেন ডিমের কুসুমের মতো। দেখতে দেখতে মূহূর্তের মাঝে সূর্য অনেক উপরে উঠে গেলো। সবাই মূহুর্তটি ক্যামেরার ফ্রেমে বন্ধি করে ফেললাম। ধারাবাহিকভাবে ছবিগুলো শেয়ার করলাম...............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।