আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতেমাতালের পোষ্টে পি মুন্সীর মন্তব্য: যারা আওয়ামী লীগ করছেন - এরা আওয়ামী লীগ পেলেন ক্যামনে?

মগ্নতা ছাড়া

জাতেমাতালের শেখ মুজিবের বিচারের রায়ঃ আমার কিছু পলায়নবাদীতা... শিরোনামের পোষ্টে পি মুন্সীর মন্তব্যটি কৌতুহলকর মনে হৈল। আপনাগো জন্য দিয়া দিলাম এখানে, আলাদা পোষ্ট আকারে: "..আপনি আসলেই পলায়নবাদী লোক, এখানেও পলাইলেন। শেখ মুজিবের বিচারের রায়ঃ আমার কিছু পলায়নবাদীতা - তো আপনার পলায়নবাদিতাটা কী বলতে পারলেন না। শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল করেছিলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী। এর আট মাসের মাথায়, একই বছর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তিনি নিহত হন।

এটা ইতিহাসের হার্ড ফ্যাক্টস। তাহলে, আজকে যারা আওয়ামী লীগ করছেন - এরা আওয়ামী লীগ পেলেন ক্যামনে? যারা এখন আওয়ামী লীগ করছেন বা ভালবাসেন তারা কাউকে বাকশালের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হয়নি। কে করে দিয়েছিল? যে আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবের নিজের হাতে গড়া তার বিলুপ্তিও শেখ মুজিবের হাতেই ঘটে গেছিল। কিন্তু যে বাকশাল শেখ মুজিবের হাতে গড়া তাঁর মৃত্যুর পর এর দায় নেবার এমনকি একে বিলুপ্ত ঘোষণার হিম্মৎ কোন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক কারও হয়নি, করে নাই। কিন্তু জিয়াউর রহমানের ১৯৭৯এর নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক দলকে আগে দল রেজিষ্ট্রেশনের যে আইন চালু করা হয়েছিল সেটাকে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে নতুন দল রেজিষ্ট্রেশন নেয়া হয়, বাকশাল নয়, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের বাকশাল নামে দল করার হিম্মৎ হয়নি।

আজকের আওয়ামী লীগ যারা করছেন তাদের অন্তত ফারুক-রশিদ মোশতাক থেকে শুরু করে জিয়া পর্যন্ত এদের সবার কাছে শোকর গুজার করা দরকার ছিল আগে, - আওয়ামী লীগ নাম আবার উচ্চারণেও আগে। কারন আজকের আওয়ামী লীগার এরা সবাই শেখ মুজিবের হত্যার বেনিফিশিয়ারী। উনি নিহত না হলে আওয়ামী লীগ করার হিম্মতও কার হত না। ইতিহাস বড় নির্মম। কাউকে ফাঁসি নিয়ে মনের জিঘাংসা মিটতে পারে, ইতিহাস তবু পিছু ছাড়ে না।

.." আসেন তর্ক্ক লাগাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।