"নব্য রাজাকার গোষ্ঠির প্রবেশ নিষেধ"
২০০১ এর দিকে যখন পিসি ছিল,তখন হার্ড ড্রাইভের সাইজ ছিল ১০গিগ।
জায়গা নিয়ে কত হিসাব নিকাশ!!! কই কি রাখব।
আর ভাবতাম কখন ২০গিগের একটা হার্ডড্রাইভ নিব।
.......
দিন পাল্টাইছে...এরপর ৮০ জিবির যখন কিনলাম,কিছু দিন পরেই মনে হল, ইহা আর যথেষ্ট নয়। ডিজিটাল ইমেজ নিয়ে ত্রাহি অবস্থা।
তার উপর এটা সেটার বেকআপ...উফ!
হলে থাকি,এর ওর পিসিতে লোভনীয় জিনিসে ভরপুর....
শেষ পর্যন্ত হার্ডড্রাইভ আপগ্রেডের জন্য মনস্থির করলাম।
পরীক্ষা এই সেই...সব মিলিয়ে কোন সময় নাই। এর মধ্য পরীক্ষা পিছিয়ে গেল প্রায় এক মাসের জন্য। এই পরীক্ষ পেছানোও এক হাস্যকর কাহীনি।
৩য় বর্ষের ছাত্ররা গেল ৭দিন পেছানোর জন্য।
ভিসি বলল ওকে ৭দিন পেছানো হবে। তার পর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের টিচার দের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল,আর ফলশ্রুতিতে পরীক্ষা ৭ দিনের পরিবর্তে ১মাস পেছাল
এর আগে পরীক্ষা পেছালে ভালোই লাগত,কিন্ত এইবার মার্চে কোর্স শেষ হওয়ার কথা...সেটা যে এখন মে'এর দিকে পৌছাবে সেটা প্রায় নিশ্চত।
যাক, গত পড়শু ৫০০গিগের এক হার্ডড্রাইভ কিনলাম। তিন দিন না যেতেই হার্ড ড্রাইভ সেচুরেশনে পৌছেগেছে...
ভাবতেছি, ৫০০ টেরা হার্ড ড্রইভ কখন কিনুম
মাঝে মাঝে খারাপও লাগে এই জন্য যে আমরা প্রযুক্তির ভোক্তা হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। নিজস্ব প্রযক্তি উন্নয়নে কোন ধরনের তারা নাই আমাদের।
এই রকম একবার শুনেছিলাম যে, ইন্টেল কপোরেশন নাকি বাংলাদেশে তাদের একটা ইন্ড্রাস্ট্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তখনকার রাজনৈতিক অস্তিরতার জন্য তার সেই বিনিয়োগ কে লাভ জনক হিসেবে দেখেনি তারা। পরে সেটা সরিয়ে নেয় ভিয়েতনামে।
এই খবটার সুত্রটা অবশ্য নিশ্চত করতে পারছি না,এটা সম্পর্কে কেউ জানলে শেয়ার করলে ভালো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষাসফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনে গিয়েছিলাম কিছু দিন আগে।
তো আমাদের বিফিং দেয়া হচ্ছিল কি এই কেবল,কই কই কানেকশন আছে...হাবিজাবি এই সব
জানলাম বর্তমানে যে সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত বাংলাদেশ,সেটার সাথে মাত্র ১৪টি দেশের লিং আছে। আর অন্যান্য দেশের সাথে যুক্ত হতে হলে এক্সট্রা চার্জ দেয়া লাগে...
যে ব্রিফিং দিচ্ছিল,তার কাছে জানতে চাইলাম ১৯৯৪ সালের সাবমেরিন ক্যাবলটার সাথে যুক্ত হলে কয়টা দেশের সাথে লিং থাকত?
উনি যা বললেন তাতেই মাথা চক্কর দিয়ে উঠল।
ঐ ক্যাবলটার সাথে ৭১ টা দেশের লিং ছিল!!!
কবে যে আমরা মানুষ হব...............বলতে পারেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।