যদি আমি ঝঁরে যাই একদিন কার্তকের নীল কুয়াশায়
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধাব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সাংবাদিকতা ও সংগীতের সঙ্গে ৫৫ বছরের গেরস্থালি শেষে ৭৪ বছর বয়সে ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি মারা যান।
ওয়াহিদুল হক তাঁর জীবনব্যাপী কর্মতৎপরতার মাধ্যমে জাতির সাংস্কৃতিক রুচিবোধ তৈরির নিরন্তর প্রয়াস চালিয়েছেন। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ভূমিকা পালনকারী অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের তিনি প্রধান উদ্যোক্তা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী রবীন্দ্রসংগীতকে হিন্দু সংস্কৃতি অভিহিত করে অপপ্রচার ও পাকিস্তানে তা নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
১৯৬১ সালে ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালন এবং তারই ধারাবাহিকতায় সে বছরই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ছায়ানট।
ওয়াহিদুল হক রবীন্দ্রসংগীতের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। সারা দেশে রবীন্দ্রসংগীত চর্চাকে বিস্তৃত করার জন্য ১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ'। প্রমিত বাংলা উচ্চারণ ও বাচনিক উৎকর্ষের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'কণ্ঠশীলন'। প্রায় ৪৭ বছর আগে এ দেশে যে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সূত্রপাত করে, তারও উদ্যোক্তা ছিলেন ওয়াহিদুল হক।
ঋতি্বক ঘটক পরিচালিত কালোত্তীর্ণ চলচ্চিত্র 'তিতাস একটি নদীর নাম'-এর সংগীত পরিচালনা করেন ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খাঁর সঙ্গে যৌথভাবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠনের জন্য শিল্পীদের উদ্যোগে পরিচালিত 'স্বাধীন বাংলা শিল্পী সংস্থা'র অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছায়ানট সকালে সংস্কৃতি ভবনে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।