আমি গৌরী সেন। টেকা বিলাইতে বিলাইতে কাহিল হয়া যাইতেসি। কিন্তু আমার ভান্ডার আর শেষ হয় না। কারো টেকা পয়সা লাগলে অতিসত্বর kangalgourisenএটgmail.com এই ঠিকানায় যোগাযোগ করেন।
ঘুম থেকে উঠলাম সকাল ৭ টায়।
রেসিশান বা মন্দা আক্রান্ত এই কর্ম বাজারে কাজের ব্যাস্ততা কম। খরচ করার মতন টাকা কড়ির যোগানও সেই সংগে তাল মিলিয়ে। রিক্রিয়েশন বলতে আছে একমাত্র ইন্টারনেট। ব্লগে ঘুরি ফিরি, টরেন্ট দিয়া ফিল্ম নামায়া সেইগুলা দেখি, টুকটাক রান্না-খাওয়া ব্যাস এই হচ্ছে ইদানিংকার জীবনচিত্র। টিভি দেখিনা, ছেড়ে দিয়েছি অনেক দিন হলো।
লক্ষ্য করছিলাম যে টিভি দেখার ব্যাপারটা আমাকে খুব উত্তেজিত করে তুলছিল। তাই একটু রিলাক্সড থাকার জন্য ছেড়ে দিলাম ঐটা। এখন অনেক ভালো আছি। রাজনিতি, সমাজ, যুদ্ধ বিগ্রহ, টেরোরিজম, কনসুমিজম ইত্যাদি থেকে এখন অনেক দুরে আছি। তবে সমস্যা এই যে তড়িৎ গতিতে কোনো খবর বার্তা মিলে না।
এই যে অল্প কয়েকদিন আগে হাইতিতে ভূমিকম্প হয়ে গেলো তার খবর আমি জানতেই পারতাম না বা অনেক পরে জানতাম যদি ঐ সময় আমি দেশে না থাকতাম। শুরুর দিকে বলা হচ্ছিল ৮ / ১০ হাজার মানুসের কথা। এখন ধীরে ধীরে সেটা এই দশকের শুরুরদিকে ঘটে যাওয়া গুজরাট ভূমিকম্পের রূপ ধারন করছে। মনে পরে সেবার ভিকটিমের সংখ্যা দু'লাখ ছাড়িয়েছিল। তখন নিয়মিত টিভি দেখতাম।
নিয়মিত খবর দেখার পাশাপাশি নানান হাবিজাবি টকশো আর ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপন। মনে খুব খটকা লাগতো এই দেখে যে একদিকে যুদ্ধবাজির জন্য টাকাপয়সার যোগানের কোনো কমতি নাই। অথচ কোনো দুর্গত দেশ ও জাতিকে সাহায্যের প্রশ্ন উঠলেই জনগনের পকেট হাতড়ায় সরকার। এই চালচিত্রের সাথে বোধকরি তথাকথিত উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে বসবাসকারী সকলেই পরিচিত। একি অবস্থার পুনরাবৃত্তি দেখলাম ৎসুনামির সময়, ইরানে ভূমিকম্পের সময়, ইত্যাদি ইত্যাদি।
পাশাপাশি বছরজুড়ে বিভিন্ন অজুহাতে ইউনেস্কো সহ নানান সংস্থার ফান্ড রাইজিংতো চলছেই। তৃতীয় বিশ্বের ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে অন্ন জোগান থেকে শুরু করে চিকিৎসা, শিক্ষা, এইডস আক্রান্ত আফ্রিকানদের সহায়তা - হেন ইস্যু বাদ নাই যার জন্য মানুষের পকেট হাতড়ানো হচ্ছেনা। এর পাশাপাশি ডিসট্যান্স এডাপশনতো আছেই। আবার খুব সূক্ষভাবে কিছু ভাবনা বা বিশ্বাস এই সাহায্যকারি সংস্থাগুলি উন্নত বিশ্বের আম নাগরিকদের ভিতর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সেটা হলো এইরূপ ভাবনা বা বিশ্বাস যে, তারা (উন্নত বিশ্বের নাগরিকরা) মহান আর আমরা (৩য় বিশ্ববাসীরা) অধম।
আমরা তাদের সাহায্য ছারা অথৈ সাগরে ডুবে যাবো। এবং তাদের দেশ সমূহ আমাদের দেশগুলাকে সাহায্য করা ছারা অন্য কিছুই করছে না। এহেন আম নাগরিককে আপনি শুধু বলার চেস্টা করে দেখেন যে আমাদের (৩য় বিশ্বের) দেশগুলিতে মানুষের দুঃখ দুর্দশার প্রধান কারন হচ্ছে তাদের (উন্নত বিশ্বের) দেশগুলির ফরেন পলিসি, আপনাকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করা হবে। এইটা বুঝতে তারা পুরাই নারাজ। কারন তারা দেখে আসছে কারনে অকারনে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তাদের দেশগুলির সাহায্যকারী সংস্থাসমূহ ও সরকার তাদেরই কাছে আমাদের জন্য হাত পাতছে এই বলে " দাও ভাই.... তোমার একটা কফি খাওয়ার পয়সায় অমুক দেশের একটা আস্ত পরিবার দুইবেলা ভরপেট খেতে পারবে" এবং এহেন আবেদনে তারা হরদম সারা দিচ্ছে এবং আত্মপ্রসাদ লাভ করছে এই ভেবে যে ঠিকাছে বাঁচুক ঐ ছাড়পোকাগুলি আমার এঁটোকাঁটা খেয়ে।
............. ................... .....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।