Bangladesh: Dream
বাংলাদেশ দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ । প্রবল আত্মবিশ্বাসের ঝলকও বলা যেতে পারে। তবু মাহমুদউল্লাহর ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসকে সম্পূর্ণ বোঝানো যাবে না। ব্যাটিং বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা মিলে যা দাঁড়ায়, মাহমুদউল্লাহর এ ইনিংসটি আসলে তাই। কিংবা এর চেয়েও বেশি কিছু।
এই বেশিটা আসলে কি? ক্রমেই পরিণত হতে থাকা ব্যাটিং মানসিকতা। ৫২টির বেশি টেস্ট খেলে ফেলা আশরাফুলরা যা দেখাতে পারেননি, আইডিয়া টেস্ট সিরিজে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ তাই করে দেখালেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪৩ রানে। বিপর্যস্ত ভারতীয় ইনিংসের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ৭৮ রানে ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ সপ্তম উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়েন।
বাংলাদেশ যে ২৪২ রান করতে পেরেছিল, তা এই জুটির কল্যাণেই_ যেখানে মুশফিকের অবদান ছিল ৪৪ আর মাহমুদউল্লাহর ৬৬। সেই জুটি এবং ইনিংস দুটিতে তারা যে সতর্কতার সঙ্গে ইনিংস নির্মাণ করেছিলেন, তা ছিল বাজে শট খেলে আউট হওয়া সতীর্থদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়। অযথা শট খেলার ঝুঁকি নেননি, ক্রিকেট সেন্স ও বিচক্ষণতার সমন্বয়ে সযতনে নির্মিত ইনিংস দুটির পর অধিনায়ক সাকিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা ভুল থেকে শিখতে চাই এবং উন্নতিটা ধরে রাখতে চাই। খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের প্রথম প্রজন্মের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং গড় ছিল ১৫ থেকে ২০-এর মধ্যে, এর পরের প্রজন্ম ২৫ থেকে ৩০ গড়ে রান করছে; এটাকে ৩৫-এ নিতে হবে। তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গড় দাঁড়াবে ৪০-এর ওপর।
' বাংলাদেশ অধিনায়কের এই মন্তব্যের কোন ক্যাটাগরিতে পড়েন মাহমুদউল্লাহরা? অবশ্যই ২৫ থেকে ৩০ গড়ের ক্যাটাগরিতে। তবে সাকিব যেটা বলেননি তা হলো, এই প্রজন্ম কেবল ব্যাটিং গড়েই উন্নতি করেনি, সঙ্গে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতেও শিখেছে। যার প্রমাণ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবার রাখলেন মাহমুদউল্লাহ ৯৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। ১০৬ রানে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে, তখন ক্রিজে নামেন মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকে দলকে একা টেনে তোলেন।
চা বিরতির সময় দলীয় রান ছিল ৮ উইকেটে ১৯৭। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে। অষ্টম উইকেট জুটিতে শফিউলকে সঙ্গী করে তুলেছেন ৫৮ রান। দুর্ভাগ্য, তার হাতে উইকেট না থাকায় ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না। ৯৬ রানে অপরাজিত থেকেই তাকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।