মেদিনিমণ্ডল মহাকাব্য
ফকির লীলা পাগলা ফজল
অঙ্ক ১
খোয়াজ খিজির চড়েন মাছের পিঠে, বদর পীরের নামে মাঝি ভেসে যায়
হায় হায় হায়! ভাসানে ভাসিয়া যায় নদীর মোহনা। দরিয়ার দখল নেয়
বৈদেশি জাহাজ। আমাদের ঘাটে তার ভিড়িবার স্বাদ। আকাশে ফুটিয়া থাকে চন্দ্রভাণু মিলে, বিধান উল্টাইয়া যায় আমারও ওঙ্কারে
পাগল দরশন করে শহর কুতুব, মাসুম পলির বুকে পান্হপদছাপ
তোমারে না পাইলে আমার হবে মনস্তাপ, যতো কাঠি, যতো পুর, যতো আছে কান্দি। সবখানে যাইও পাগল আমার লাগি; আমার আমি চলে গেলে তোমার আমি হ্ই।
এইকথা জানি্য়া পাগল নাচনে কুদনে, মেদিনিমণ্ডলের কিচ্ছা বলে সর্বজনে । ।
অঙ্ক ২
আফ্রিকায়, না জানি মাটির গোমর উপর শুষিয়া- ভেতরে পোয়াতি মা
সিন্ধুক কবরে। সকল সম্পদ রাখেন জননী জঠরে। কঙ্গোয় কেরেঙ্গাল বাধে
মা যাহা ছড়ান এই লাল ভুমি 'পরে।
দেখিয়া তাহার বিতান হিরা খোঁজে লোকে। নদী-নীরে মাছেরা যে স্বাধীন ছাড়া, ফসলেরা উঁকি দেয় চাষ- বিহনে । খুঁড়িয়া কঙ্গোর দেহ নিয়ে যায় সব। আমরা দেখিতে চাই রাজনীতির বৈভব । কোথায় কমরেড আপনি, দেখেও দেখেন না প্যাট্রিস লুবুম্বা ?
এইসব কাণ্ড দেখে পাগলা ফজল :
বিনীত সে বলে যায় মানুষের কথা
তিমির পেটে আমি রেখেছি যে কথা
নিজস্ব বিভেদে যারা হত্যায় মাতে, আফ্রিকার আকাশ তাদের সালিশে ডাকে
খোয়াজ খিজিরের নামে যাই সাগরে
বদর পীরের চেরাগ হাতে নিয়ে চলি
আকাশ উজালা দেখো জ্যোতিষ্কের গুণে
শরীরে যে ভাঙে জল ।
। হালের মূল ধরে টানে সে-ই জল
মিলনে ফুটিবে শোভা মিলনমিত্রকলি
কী বিষন্ন দেখো আজ আফ্রিকার অবুঝ ফুলগুলি । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।