আমার জন্মটা অন্যদের সময়ে
ভ্রমণ অনুরাগীদের জন্য দেশের অন্যতম বিনোদন স্পট সিলেটের জাফলং। প্রকৃতিক অপরুপা সুন্দর্যের লীলাভূমি জাফলং শাহাজালের পুণ্যভূমি সিলেট শহর থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। পিকনিক স্পট জাফলংয়ে সিলেট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমী ভিড় জমান প্রতিদিন। শীতকালে সবচেয়ে বেশী ভীড় জমে এ এলাকায়। জাফলং পিকনিক স্পট এলাকায় যেমন রয়েছে কমলার বাগান, আনারসের বাগান, লেবুর বাগান, নাশপাত্তির বাগান, পানের বাগান ও চায়ের বাগান- তেমনি রয়েছে- আদিবাসী খাসিয়া পল্লী।
এ এলাকায় একবার গেলেই অনায়াসে মন ভরে যাবে ভ্রমন পিপাসুদের। সিলেট শহর থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত বিনোদন পিকনিক স্পট জাফলং। যেকোন সময় নগরীর মেন্দিবাগ থেকে সিএজি, টেম্পু ও মাইত্রোবাস করে সহজে যাওয়া যাবে জাফলংয়ে। গাড়ি পেতে কোন বেগ পেতে হবেনা। সুন্দর আকা-বাকা রাস্থা দিয়ে সিলেট থেকে জাফলংয়ে যেতে আধঘন্টা থেকে একঘন্টা সময় লাগবে আপনার।
এতে ভাড়া লাগবে মাত্র ৩০ থেকে ৩৪ টাকা। ক্ষেত্র বিশেষ আরো কিছু বেশীও লাগতে পারে। জাফলং যাওয়ার পথে আপনি প্রথমে জৈন্তাপুরস্থ তামাবিল কয়লা খনি দেখতে পাবেন। পাচ পরগনার বটতলা পাড়ি দেয়ার পর জাফলংয়ে গিয়ে সোজা নামবেন পিকনিক স্পটে। আপনি প্রথমে গাড়ি থেকে নেমে একটু সামনে এগুলে দেখতে পাবেন খাসিয়াদের লাগানো হাজার হাজার সুপারির গাছ, আর এগাছ গুলোর মধ্যে সাপের মতো পেচানা সারি সারি শত শত পানের বাগান।
আরো একটু এগুলে দেখা যাবে কমলার বাগান, আনারসের বাগান, লেবুর বাগান, নাশপাত্বির বাগান, চায়ের বাগানসহ আরো কত-কি। চারিদিকে শুধু বাগান আর বাগান। যা একবার দেখলেই আপনার মন না ভরার কথা নয়। আর কমলার বাগান, লেবুর বাগান, চায়ের বাগান ও আনারসের বাগানের ভেতরে গিয়ে আপনি বেড়াতে পারেন নির্দিধায়। শরীরটাকে লেলিয়ে দিয়ে আপনি পার্শের নদীতে গোসলও করতে পারেন অনায়াসে।
আদিবাসী খাসিয়া পল্লীতে গেলে দেখা যাবে মাচাংয়ের ওপর তৈরী করা সুন্দর করে সাজানো গোজানো সারি সারি শত শত বসতঘর। নদীর ওপাড়ে বাংলাদেশের অবস্থান হলেও এপাড়ে ভারতের অবস্থান। একটু থাকালেই দেখা যাবে উচু-নিচু পাহাড়ের ওপর অবস্থিত ভারতের বিএসএফ এর ক্যাম্প। ক্যাম্প এলাকায় রয়েছে বিএসএফ এর বিচরণ। আপনি রাতের বেলায় আরো দেখতে পাবেন ছোট ছোট আকাবাকা রাস্তায় আলোর ঝলমল।
দিনের বেলায় জাফলংয়ে বেড়িয়ে রাতে চলে আসতে পারেন সিলেট নগরীতে। এখানে আছে উন্নতমানের মনোরম হোটেল আর মনোমুগ্ধকর খাওয়া-দাওয়ার ভাল ব্যবস্থা। আপনার থাকা-খাওয়ার কোন সমস্যা নেই। সকালে ইচ্ছে করলেই আপনি আবারও যেতে পারেন জাফলংয়ে। পিকনিক স্পটের ভেতরে রয়েছে আপনাকে অপ্যায়নের জন্য রেষ্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকান।
তবে এসব দোকানগুলোতে দাম একটু বেশী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।