আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজার মাত করেছে অবিকল দেশি মুরগি ‘কক্‌কুড়া’

http://www.facebook.com/samimsikder
দেখতে অবিকল দেশি মুরগির মতো। তাই কাটতিও বেশ। হোটেল-রেসেত্মারাঁয় চালানো হয় ‘দেশি চিকেন’ বলে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ‘কক’, ‘কককুড়া’ আর ‘সোনালি’ নামে। কিন্তু দেখতে হুবহু দেশি মুরগির মতো বলে প্রতিকেজি মুরগিতে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা করে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফেরিওয়ালাসহ কিছু ভাসমান দোকানদার খুচরা ক্রেতাদের কাছে দেশি মুরগি বলে বিক্রি করছে কক্‌কুড়া। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে গিয়ে মহিলাদের কাছে গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে এসব মুরগি। মাসছয়েক আগে বাজারে এসেছে এ কককুড়া। আগে এসব মূলত আসতো সীমানত্মবর্তী বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে কুষ্টিয়া, বগুড়া, কুমিল্লার লাকসাম প্রভৃতি এলাকা থেকে। এসব মুরগির ওজন হয় ৬শ থেকে ৮শ গ্রামের মতো।

কক্‌কুড়া সাধারণত সাত থেকে আট রঙে পাওয়া যায়। তবে ইদানীং সাদা রঙের কককুড়াই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বেশি। এটা দেখতে অনেকটা দেশি সাদা রঙের মুরগির মতো। আর সোনালি মুরগির রং অনেকটা লালচে ও সোনালি। এগুলো ‘কালার বার্ড’ নামেও পরিচিত।

এসব মুরগির রং বা আকার দেখতে যেমন দেশি মুরগির মতো, তেমনি স্বাদও প্রায় দেশি মুরগির মতোই। তাই দেশি মুরগি বলে সহজেই চালিয়ে দেওয়া যায় ‘সোনালি’ বা ‘কক’কে। কিন্তু ককের খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা। আর সোনালির দাম কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৫৫ টাকা। বিভিন্ন বাজারে কক কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আর সোনালির দাম ছিল ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ফার্ম ১১৫-১২০ ও দেশি মুরগি ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায় গতকাল। কিন্তু সোনালি ও কক-এর দাম একেক দোকানে একেকরকম হাঁকতে দেখা গেছে। এতে ক্রেতারা বিভ্রানত্ম হয়ে পড়েন। দেখে যেমন বোঝার উপায় নেই তেমনি দামও দেশি মুরগির সমান হাঁকার কারণে বোঝা যায় না এগুলো আসলে দেশি মুরগি নয়।

অনেক বিক্রেতা এ মুরগিগুলো দেশি বলে চালিয়ে দিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে, তা সত্য। এটা অনৈতিক। ওসব ব্যবসায়ীদের কারণে মুরগির ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাজারগুলোর প্রায় সব কটিতেই সোনালি বা কক্‌কুড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে না চেনার কারণে ঠকছেন ক্রেতারা।

এ সুযোগে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা বাড়তি হাতিয়ে নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। আগে ব্রয়লার মুরগিকে পাকিসত্মানি মুরগি বলে চালিয়ে দেওয়া হলেও এখন এসব মুরগিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সচেতনতার অভাবে মানুষ এসব মুরগি কিনে ঠকছে আসলে দেখতে দেশি মুরগির মতো হওয়ায় অনেকেই না জেনে বাড়তি দাম দিয়ে এসব মুরগি কিনছেন। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে। ক্রেতারা আসল দামদর জানলে এমনটা হতো না।

তথ্য ইন্টারনেট
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.