শাহ আব্দুল করিম একজন স্বল্প শিক্ষিত বাউল। ১৯৫৪ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম তেলগ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়। সে তেলগ্যাস নিয়ে তখন শুরু হয সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐ সময়ে আব্দুল করিমের অবস্থান বিস্ময়কর। তিনি গানে গানে বললেন, খনিজ সম্পদ হচ্ছে দেশমাতৃকার দুধের সমান।
একালে দেশের খনিজ সম্পদ নিয়ে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের মুখে আপনি কী অবস্থান?
বাউলের প্রতিবাদী গানটি নিম্নে উদ্ধৃত করা হলঃ
অনেকে বলে আমাকে গাও না একটা তেল-চোরার গান
তেল-চোরা নয় বিষম চোরা সে যে অনেক ক্ষমতাবান। ।
দেখরে ভাই বিচার করে তেল-চোরা রয়েছে ঘরে
সুকৌশলে চুরি করে চোরে জানে চোরের সন্ধান। ।
ভূ-তত্ব বিজ্ঞানী যারা চিন্তা ভাবনা করেন তারা
মনে প্রাণে চেষ্টা করা এই যে তাদের কর্মবিধান।
।
বহু খোঁজাখোঁজির পরে তেল মিলেছে হরিপুরে
আনন্দ সবার অন্তরে যারা বাংলার মায়ের সন্তান। ।
হরিপুরে হরির লুট কেন দেশবাসী কি খবর জানো
তেল-চোরায় তেল নিলো শোন এদেশকে করতে চায় শ্মশান। ।
এই ভাবে তেল দেওয়া যায় না দেশবাসী তা মানতে চায় না
করেন সবাই বিবেচনা এই তেল মায়ের দুধের সমান। ।
দেশের সম্পদ দেশবাসীর হয় ব্যাক্তিগত মালিক কেউ নয়
রয়েছে তেল-চোরার ভয় দেশবাসী হও সাবধান। ।
দেশের সম্পদ রক্ষা করো মনের দুর্বলতা ছাড়ো
নিজের কর্ম নিজে করো চোরে চায় না দেশের কল্যান।
।
বাউল আব্দুল করিম গায় পড়েছি বিষম ধাঁধাঁয়
সাধু জনা অসুবিধায় বেড়ে গেছে তেল-চোরার মান। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।