১।
ও না এলে আমি ঘুমাই না, আজ শুধু হাহাকার
ও না এলে আমি অসহায়ত্বের অতল চক্রে খাবি খাই
মনে হয় কেউ নাই
মানুষেরা একা একা বাঁচে না কখনো । ।
কালপক্ষি উড়িয়া গেল আকাশের পানে
ছায়া তার পড়িয়া থাকে মেদিনীমণ্ডলে
ঠিকানা ছিন্নভিন্ন, ঘর ও ঘরণী সব গৃহের গহিনে
কালঘুমে কেটে যায়, ঘর সব মিশে গেছে ঘুমের কফিনে
শহরে লাশের মিছিল, লজ্জায় সব শব ঢেকে রাখে মুখ
শিশুরা গণিত শেখে লাশের যোগ -বিয়োগ। ।
২।
এখন এ শহরে দিনরাত সব মারা গেছে
আসমানের ভাঙা টুকরাগুলো লাশের পাশে পাশে, কিছুটা বিষন্ন
ওয়েস্টার্ন হ্যামিস্ফিরার পুরেটাই ভেঙে পড়েছিল
রাষ্ট্র যখন দুর্বল হয়, তার ইমারত মৃত্যফাঁদ
রাষ্ট্র যখন অচল হয়, তার চোখে ছানি পড়বেই
হাইতি আমাকে আমাদের নিয়তির কথা বলে
ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় লাশ, আমি লাশের গাড়ি টানছি
রবীন্দ্রনাথ প্যারিসের হর্ম্যে জীবনের মর্ম নয়, সম্পর্কের হার্মাদির খোঁজ পেয়েছিলেনঃ
আজ দুনিয়া হার্মাদের দখলে ...
আমার দোস্তের খোঁজ পাইনি এখনো
একবারই প্যারিসে একজন হাইতিয়ানের সংগে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিলো
একজন বাঙলাদেশের দুলুভাই হাইতিতে গাছ লাগাতে গিয়েছিলেন
তিনি বৃক্ষ ও নারী উভ্য়কেই ভালবাসতেন
পেয়ারে পেয়ারে তিনি ফতুর হয়ে গেছেন....
বৃক্ষও ব্যাথায় কাঁদে যদি পাতা ঝড়ে
লাশেরা চলিয়া যায় স্মরণের তরে
ব্যাথাগুলো নিজে কাঁদে,ব্যাথিত পাতার মত নৈশ প্রহরীর সাথে জীবন পাহারা দেয় ।
যারা বৃক্ষ ও নারী উভয়ই ভালোবাসে
তারাই পতনশীল আকাশ ঠেকিয়ে রাখে
আসমান ভাঙিয়া পড়ে অদৃশ্য অম্বরে
দিগন্তের ছায়া পড়ে জগতের পরে । ।
আমি তো জগৎ জানি, মায়াবী মনীষা
আমাকে চিনায় লাশ, জগতের হিয়া
আমাকে সুন্দর করে, আরো বাক্কা চলন, হাইতির লোক টের পায় অসুরের স্পন্দন ।
।
আমাদের নি্য়তির কথা হাইতি জানে
ঢাকায় আসুন গড়ে তুলি জগৎরক্ষা আন্দোলন। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।