আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেও না, থাকো!

নিশীথ রাতের বাদল ধারা

ঢাকা ছেড়ে যাবার সময় উপস্থিত। দূয়ারে প্রস্তুত গাড়ী, বেলা মধ্যরাত! অনেক কিছু ফেলে যেতে হচ্ছে-- কিছু প্রিয় মুখ, কিছু প্রিয় মুহূর্ত এবং অমিমাংসিত কিছু দ্বন্দ্ব। সবচেয়ে অবাক কান্ড-- এই ঘুম ঘুম কুয়াসাচ্ছন্ন শহরটা নিরবে বলছে, যেও না, থাকো! রাস্তার পাশের মলিন ধূলী ধূসর গাছগুলো, ঝলমলে বিপনিবিতান আর অসংখ্য নাম না জানা ঝাপসা মুখ বলছে--যেও না, তুমি তো আমাদেরই লোক! আমি বানিয়ে বা বাড়িয়ে বলছি না। সত্যিই এমন মনে হচ্ছে। আগে ফিরে যাবার সময় মন খারাপ হতো ঠিকই, এয়ারপোর্টে অতীব নাটকীয়তায় অশ্রুবন্যা বইয়ে প্রিয়জনদের বিদায় দিতাম। কিন্তু একটা অদৃশ্য ভাবনা ফিরে যাবার তাগিদ দিত--মনে করিয়ে দিত গিয়েই কত কাজ! তুচ্ছ grocery shopping আর অফিসের হাজারো deadlines! কর্মক্ষেত্রের আপাতঃ হাস্যোজ্জল - অন্দরে ভীষন competitive কর্মপাগল মুখগুলো মনে করিয়ে দিত নিজেকে প্রমান করার সেই dynamic game এর কথা। মনে হত এ-কদিন ছুটির ফলে পিছিয়ে গেলাম নাতো! এইবার কাজের কথা একবারও মনে পড়ছে না। মনে হচ্ছে আর কত? ওদের সেই rat race এ নাইবা দিলাম যোগ। কি আর হবে? ওদের কি যায় আসে একটা মেয়ে মন খারাপ করে নিত্যদিন কাজ করে গেলে! আমি না গেলেই বা কি--শূণ্যস্থান পূরণ করতে এতটুকু সময় লাগবে না! ওখানে কেউ নিঝুম রাতে আকুল গলায় জানতে চাইবে না আবার কবে দেখা হবে! আমাকে ওদের দরকার নেই আসলে। এই বোধটাই এবারের অর্জন আর সেটাই বোধহয় বলছে--বার বার বলছে--যেও না, থাকো!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।