আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাঁদলেন নেইমার

বাবার হাত ধরে যখন প্রথমবার সান্তোসের যুব একাডেমিতে এসেছিলেন, তাঁর বয়স ১১। এরপর সূর্যকে ১০ বার ঘুরে এসেছে পৃথিবী। সেদিনের বালক নেইমার এখন শুধু সান্তোসের মূল দলের তারকাই নন, ব্রাজিল পেরিয়ে বিশ্বজোড়া তাঁর খ্যাতি। কারও কারও কাছে আগামী দিনে ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকাও! যে ক্লাব তাঁকে এই পরিচিতি দিয়েছে, সেই সান্তোসের হয়ে পরশু বিদায়ী ম্যাচটা খেললেন নেইমার। এবার গন্তব্য বার্সেলোনা।

আরও বড় লড়াইয়ের মঞ্চ, আরও বেশি করে নিজেকে প্রমাণের হাতছানি!
সে হাতছানি থাকুক সামনে। কিন্তু তার আগে কৈশোর আর যৌবনের চিরচেনা ক্লাব থেকে বিদায়ের মুহূর্তটা খুব আবেগময় হয়ে রইল নেইমারের জন্য। শেষবারের মতো সান্তোসের জার্সি গায়ে মাঠে নামলেন, ম্যাচের আগে ক্লাবের সংগীত বেজে ওঠার সঙ্গে বাষ্পরুদ্ধ হলো চোখ দুটি। গোলশূন্য ড্র ম্যাচে প্রতিপক্ষ ফ্লামেঙ্গোর দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দুয়ো দিয়েছে অনেকবার। কিন্তু সেসব কারণে নয়, বরং বিচ্ছেদের কথা ভেবেই হয়তো নেইমারের চোখের কোণে জলবিন্দু আটকে রইল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।

খেলা শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুধু একটা কথাই বলতে পারলেন, ‘বিদায় বন্ধুরা! আমি জানি, সান্তোসের সমর্থকেরা সব সময় আমার পাশে থাকবে এবং একদিন আমি আবার এখানে ফিরে আসব। মেসি, জাভি ও ইনিয়েস্তার পাশে খেলতে পারাটা হবে আমার জন্য বিশাল সম্মানের। ’
এ সম্মানের জন্যই হয়তো রিয়ালের আরও লোভনীয় আর্থিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বার্সেলোনাকে বেছে নিয়েছেন। একই রাতে এসপানিওলের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচের পর বার্সেলোনা কোচ টিটো ভিলানোভাও নেইমারের কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন যেন, ‘ওর (নেইমারের) কাছে আরও অনেক প্রস্তাব ছিল। কিন্তু আমি তাকে অভিনন্দন জানাই, কারণ সে অর্থের কথা না ভেবে খেলাটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।


যে ক্লাবে খেলতে যাচ্ছেন, সেটি বিশ্বের অন্যতম সেরা। সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে। ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’ হতে পারে এমন একটা আভাস আগেই দিয়ে রেখেছেন সাবেক কোচ ও বার্সার নিত্য শুভাকাঙ্ক্ষী ইয়োহান ক্রুইফ। তবে সেই শঙ্কাটা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ও বার্সা ডিফেন্ডার দানি আলভেজ, ‘ক্রুইফকে আমি সম্মান করি, কিন্তু তিনি নেইমারকে ভালোভাবে চেনেন না। সে পপস্টার নয়, বরং খুবই পরিশ্রমী।

এবং বার্সেলোনায় তার ভূমিকা কী হবে সেটাও সে জানে। ’ ওয়েবসাইট।

বার্সেলোনার সবচেয়ে দামি চুক্তি
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (ইন্টার, ২০০৯-১০) : ৮৭ মিলিয়ন ইউরো
নেইমার (সান্তোস, ২০১৩-১৪) : ৫৪ মিলিয়ন ইউরো
ডেভিড ভিয়া (ভ্যালেন্সিয়া, ২০১০-১১) : ৪০ মিলিয়ন ইউরো
দানি আলভেজ (সেভিয়া, ২০০৮-০৯) : ৩৬ মিলিয়ন ইউরো
সেস ফ্যাব্রিগাস (আর্সেনাল ২০১১-১২) : ৩৪ মিলিয়ন ইউরো
সূত্র: মার্কা।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.