১।
পাখীরা কাকলি করে, আমার গলার ভেতর গনগনে রাগ
অভাগীনি বাঙলা আমার, আমার সত্তাজুড়ে স্বাধীন স্বভাব_ আমাকে শহীদ করে।
এইবার আমি মারেফাত মনীষা গুণে জানি, আমিই আগামী
কী হেকমতে মুছে দেবো স্বদেশের চোখের পানি
তা-ই আমি নজরুল চর্চ্চা করি।
আমরা আসুন আবার লাঙল পত্রিকার পাতায় বিদ্রোহী ফসল ফলাই
সাম্যবাদী সাহিত্যের কাছে ফের ফিরে যাই।
আমরা আসুন ভ্রাতা ও বহিনগণ কী বিদ্রোহে, কী বিপ্লবে প্রভাতের চক্ষু ফোটাই... চোখ মেলে চাই_ ধাতানির ঠেলায় সকল হার্মাদ যেন পালায় পালায়...
কোথায় পালাবে তারা, পরীস্হানে, বঙ্গদেশে জায়গা নাই
এতো খাই খাই, লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে, মানুষ নাই, শরীর মাংসপিন্ড
পকেট পিল্লাই...
২।
দুনিয়াবি খোয়াবের ভেতর বেহেস্তের টিকিট কেনার পয়সা জোগাড়
কিন্তু বাহালুল বলেছে আমায়, বিশ্বাসের কথা, দুনিয়া যে খোয়াড়,
সেখানে যা শোকর গুজার, তার ঢেঁকুর আধচুকা, বেহেস্তের সুবাসে তা বড়ো বেমানান ।
দুনিয়াবি কারবারে মিঠাই-মন্ডার ভেতর মাছি হয়ে বাস
মক্ষিকার চোখ নিয়ে যারা পুঁজির পুঁজে মাথা গুজে পড়ে থাকে, তাহাদের বলিঃ
বাহালুল মজনু বলে, ভাই, আমার কাছে আর কোনো টিকেট নাই
৩।
রুমানা ও নুরনাহারের প্রতি কয়েকটি পংক্তি
আপনারা যখন ছোট ছিলাম, মা বলতেন শ্বশুর বাড়ী গেলে
গুণ কিছু থাকতই হবে মা !!
ভাল সুঁই সুতার কাজ জানলে, আর যদি আমার মতো হাতি- ঘোড়া বানাতে পারিসরে মা, কিংবা ধর লিখতে পারিসঃ
পাখীর কাছে মনের কথা বলতে বলতে মন হারাবি
মনের ভেতর মনস্তাপে না পুড়ে তুই সব জানাবি
ঘরের মানুষ দূরে গেলে কী দহনে পুড়ি আমি
আমায় কেনো দিলেন দাগা ওগো আমার প্রাণ সোয়ামি
বৃষ্টি এলে আমার ঘরে, সব ভিজে যায় আপনি ছাড়া
সুঁই সুতাতে সেলাই করি, নিজের জীবন ছন্নছাড়া
ভোরবেলাতে লংমার্চ আর কারেখানায় কয়েদ খাটি
সুঁচিকর্ম বস্ত্র হয়ে সভ্যতাকে করলো মাটি । ।
৪।
গার্মেন্টস হার্মাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।