মুখে রোদ পরতেই আমি জীবিত হয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। মৃত অবস্থা থেকে জীবিত হলে আমার আসলে কবর কিংবা খাটিয়া থেকে উঠে বসার কথা ছিল। কিন্তু এখনও অত দূরের পথ পাড়ি দিতে পারিনি। তাই ঘুমকেই সাময়িক মৃত অবস্থা ধরে নিয়ে ছিলাম।
ঘুম থেকে উঠেই আমার প্রধান এবং প্রথম কাজটি হলো পাশের বাড়ির মেয়েটা তার রুমের জানালার পাশে বসে আছে কি-না সেটা এক ঝলক দেখে নেয়া।
প্রায় সকালেই আমি তাকে জানালার পাশে পেয়ে যাই। কল্পনার জগত সীমাহীন হলেও আমার কল্পনার দৌড় ওই জানালার আশেপাশ পর্যন্তই। কল্পনায় শঙ্খচিলের শালিকের ছদ্মবেশে আমি ওই জানালার আশেপাশে ঘুরে বেড়াই।
সকালবেলা খুশবুকে সুন্দরী মনে হয়। তাই আমি তার নাম দিয়েছি প্রভাতকালের পরী! বেলা যত বাড়তে থাকে খুশবুর চেহারার অবস্থা তত ভয়ঙ্কর হতে থাকে।
আমার প্রায়ই মনে হয়, ভুলক্রমে গভীর রাতে এ মেয়ের সাথে দেখা হয়ে গেলে আমার হার্টফেল কনফার্ম হয়ে যেতে পারে।
তাকিয়ে আজকে খুশবুকে পেলাম না। খুশবুকে না পেলে আমি সাধারণত আমার রুমের দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারটিকে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করি। আমি সাধারণত মাস শেষ হবার তিন-চার দিন আগেই ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে দেই। তা না-হলে নতুন মাসের দশ-পনেরো দিন পার হয়ে যাবার পরও আমার আর পাতা উল্টানোর কথা খেয়াল থাকে না।
এবার পাতা উল্টে দেখি জানুয়ারি, দুই হাজার নয়! প্রথমেই মনে হলো আমি কোন বদ টাইম মেশিনের খপ্পরে পরে গেছি। যে আমাকে সময়ের পেছনে নিয়ে গেছে। এজন্যই বোধহয় গতকাল আয়নায় চেহারাটা কেমন বাচ্চা বাচ্চা লাগছিল! এরকম অনেক হাবিজাবি চিন্তার পর আমি বুঝতে পারলাম বছর শেষ হয়ে গেছে। অবশেষে দুই শূণ্য শূণ্য নয়ে’র খেল খতম-পয়সা হজম!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।