আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোমিনের জিকির



মোমিনের জিকির ১। আহ মেঘ! একটা মেঘ টিপ দাও, আমাকে বৃষ্টির রুপে পৃথিবীতে পাঠাও যত জ্বালা -পোড়া, যত আছে শিরকের ছিদ্দত, বালা মুসিবত সব এই বান্দার; বেহুদা বক্ষিলার দেশে যাই, যমুনার ভাসানে আমি তোমারই অছিলায় তীরে তীরে আহাজারি করি, মিনতি করি কত - আমারেই ভাসাও ভাসানে। জাদুবিদ্যা শিখাও আমায়। আহ অদেখা ঝড়! গো্র্কির গন্তব্য পথে আমিই দাঁড়াই, সত্তরের সব প্রাণ তোমারই কুদরতে ফের ফিরে চাই। যেখানেই প্রাণ পাই, সেখানেই ফুটে থাকি।

সিজদায় শিরক হবে ভেবে, আমি নিরত রুকু অবনত। সুবিহ সাদিকে একদিন দেখা পেয়ে যাই, তখনই তোমার্ই সৌন্দর্য্যে আমি প্রকাশিত থাকি। ২। শিশির সন্তর্পণ এই ভোরে, ভ্রমর নিরজন এই ক্ষণে, কেবলই জিকির করি যত বলা দূর হয়ে যায়, পৃথিবীর যত সুর কণ্ঠে মৌচাক হয়। আহ কী মধুলাস্যময় এই সময়।

আমাকে বেতালা করে, নিঃশ্বাসের প্রসব জ্বালা কেউ না বোঝে। আমার খাঁচার ভেতর চৌচালা ঘর, নাকি চৌচালা ঘরে আছে খাঁচা, হাঁপড় ও হিস হিস বস্তুবাদী কামার- আমারই নসিবের দোষে আগুন উতালা করে আমারই বক্ষ। খোদা আছে খোদ জ্ঞানে, রুহানীর রকম ফেরে সপ্রাণ প্রকৃতি ডাকে আয় আয়, ওরে অবুঝ অবেলায়, কখনো যাইও না তুমি ফেলি্যা জাহাজ জলের কারবারে। কী আচানক ! জিকিরেই বুঝে যাই আমিও মানুষ। ।

৩। এই আলমমণ্ডলে আমি না করি খোদগারি, তাহারই শর্তস্বরূপ আমি আছি আমার ভেতরে, দুনিয়ার- দুখীনি দুনিয়ার মায়ায় থেকে যেতে চাই, তোমারই আলিংগনে। আঁধারে অদ্ভুত এক ছায়া খেলা করে, তার সাথে সাঁইত করি পূণ্যের কারবার। সে আমারে নিয়ে যায় নি্র্ভার নি্য়তির হাওয়ায়, সেখানে জুড়ায় দেহ; কিন্তু জালিমের হাতে যেন দুনিয়া না পড়ে তার জন্য- আমার গুরুজী হলেন মৌলানা ভাসানী। হার্মাদ যেন না লুটে বঙ্গ নিয়তি, না ভাঙে কপাল আমার, সতর্ক -শক্তিময় সদা, তর্জনীর ইঙ্গিতে আমি থামাই ঝড়, কিংবা ঝড়কে ঘুরাই আমারই কক্ষপথে।

। আমার চেরাগের শিখা জ্বলে- কেবল মুসাফির দেখে। আর যারা দেখে তারা সব আমারই সাথী। ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।