আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুদ্ধি প্রতবিন্ধি দলতি যুবককে মধ্যযুগীয় র্ববরত; ফুটন্ত গরম রসে ঝলসে দিয়েছে শরীর।।



দলিত স¤প্রদায় ভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এক যুবককে গরম রস দিয়ে সমস্ত শরীর ঝলসে দিয়েছে। মণিরামপুর সদর হাসপাতালে মরণ যন্ত্রনায় ছটফট করছে সে। মানুষ যে এত পাষান্ড হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নহে। মণিরাম পুর উপজেলার চিনাটোলা নামক রিশি পল্লীতে ঘটেছে মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক এ ঘটনা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় মণিরামপুর উপজেলাধীন ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনাটোলা গ্রামের রিশি পাড়ায় মৃতঃ দুলাল চন্দ্র দাস এর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলে নন্দলাল দাস (২৫) পারিবারীক অভাব ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়ায় সে একদিন অেন্যর গাছের খেজুরের রস অগোচরে খায়।

গত ০২/০১/২০১০ ইং তারিখ পার্শ্ববর্তী আমীন পুর গ্রামের নওশের সরদার, পিতাঃ মৃত: সোনাই সরদার এর খেজুর গাছ হতে রস খাওয়ার সময় নওশের সরদার তাকে ধরার জন্য তাড়া করে। কিন্তু তাকে ধরতে না পেরে পরের দিন ৩ জানুয়ারী সকাল ১০.৩০ টায় তাকে বাড়ি থেকে রস দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের খেজুর বাগানে ডেকে নিয়ে যায় (রস জ্বালানোর স্থান) এবং এ সময় জলন্ত উনুনের উপর থেকে গরম রস দিয়ে তাকে গোসল করিয়ে দেয়। ফলে তার সমস্ত শরীর জ্বলন্ত গরম রসে ঝলসে যায় এবং প্রচন্ড ক্ষতের সৃষ্টি হয়। গরম রসে তার গায়ে থাকা জামা তার শরীরের সহিত লেগে যায়, যন্ত্রনায় সে দৌড়াতে দৌড়াতে তার নিজ বাড়ির নিকট গিয়ে পথে পড়ে ছটফট করতে থাকে। এমন সময় তার গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভ্যান যোগে প্রথমে স্থানীয় চিনাটোলা বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার গোলাম ফারুক এর নিকট নেয়।

কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা আশাংকা জনক হওয়ায় মণিরামপুর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে গ্রামবাসী তাকে গত ইং ০৩/০১/২০১০ তারিখ রাত্রে ১০.০০ ঘটিকার সময় মণিরামপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং চিকিৎসা চলছে কিন্তু তার অবস্থা এখনও করুন। এই মুহুর্তে তাকে বাচানোর জন্য আর্থিক সহযোগীতার প্রয়োজন। দ্রুত তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নচেত তাকে বাচানো প্রায় অসম্ভব। কেউ যদি দয়া করে সহযোগীতা করতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন; ০১৭২০৫৮৭১৪০. সংযুক্তিতে আহত নন্দলালের ছবিটি দেখুন।

এবং মন্তব্য করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।