আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বডি স্ক্যানার: মানুষের শারীরিক ঝুঁকির পরিমাণ খুবই ক্ষীণ



নিরাপত্তার খাতিরে বিমানে ভ্রমণকারীদের জন্য পুরো শরীর স্ক্যানিং করার যে সিদ্ধান্ত বিভিন্ন দেশ নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তের বিষয়, বিশেষ করে এই স্ক্যানারের বিশেষ রশ্মি শরীরের জন্য কতটুকু ক্ষতিকারক তাই এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয় বড়দিনে আমস্টারডাম-ডেট্রয়েট ফ্লাইটের একটি মার্কিন বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি আবারো নতুন করে দেখা দিয়েছে৷ আর তারই প্রেক্ষিতে, বহুলভাবে আলোচিত হচ্ছে একটি বিশেষ যন্ত্র, যার নাম - ‘বডি স্ক্যানার'৷ এটি হলো একটি বিশেষ ধরণের স্ক্যানার, যা দিয়ে যাত্রীর পোশাকের নিচের দেহটি তুলে ধরতে সক্ষম৷ এক্স-রে নামে পরিচিত রঞ্জন রশ্মি পুরো দেহটাকে স্ক্যান করে৷ এর ফলে কেউ যদি পোশাকের অভ্যন্তরে কোন গোপন কিছু রেখে দেয় তা সহজেই চিহ্নিত হয়ে যায়৷ বিভিন্ন জাতের বডি স্ক্যানার বর্তমানে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে আছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে ৪০টি এ ধরণের স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়েছে৷ নতুন করে গত অক্টোবরে তারা আরও দেড়শ স্ক্যানার কেনার জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যপত্র দিয়েছে৷ কিন্তু এখন যে বিষয়টি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তা হলো, এটা শরীরে জন্য কতটুকু বিপজ্জনক৷ মার্কিন এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যদিও এই স্ক্যানারের রশ্মির মাধ্যমে বিমানবন্দর বা বিমানের নিরাপত্তা বাড়াবে, তবে যার দেহ স্ক্যানিং করা হবে তাঁর দেহে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি খুবই ক্ষীণ৷ Bildunterschrift: Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: অ্যামেরিকান কলেজ অফ রেডিওলজ্যির অধ্যাপক এবং মাসাসুটেস জেনারেল হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান ড. জেমস থ্রাল বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে যখন এক্স-রে ব্যবহার করা হয়, তখন শরীরের নির্দিষ্ট স্থানেই কেন্দ্রিভূত হয়ে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে; এতে এক্স-রে শক্তি বেশী মাত্রায় প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু বিমান বন্দরে স্ক্যানার মেশিনে যে ধরণের এক্স-রে ব্যবহার করা হবে, তাতে শক্তির প্রয়োজন হবে খুব কম৷ কারণ এই রশ্মিকে দেহের মধ্যে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, ত্বকের উপরেই এটি কাজ করবে৷ অপর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের সেন্টার ফর রেডিওলজিক্যাল রিসার্চের পরিচালক ডেবিড ব্রেননার বলেন, নিরাপত্তার খাতিরে এই স্ক্যানার মেশিনের বিষয়ে অহেতুক ভয়ের কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না৷ এতে মানুষের শরীরের ঝুঁকির পরিমাণ খুবই ক্ষীণ৷ এ ধরণের মেশিনে বিক্রিয়ার মাত্রা শূন্য দশমিক ১ মাইক্রোসার্ভট৷ যেখানে বুকের এক্স রে করার সময় বিক্রিয়ার মাত্রা হয় ১০০ মাইক্রোসার্ভট , আর সিটি স্ক্যানিং এই বিক্রিয়ার মাত্রা ১০ হাজার মাইক্রোসার্ভট৷ প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই Click This Link


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।