আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ এখন রাজনীতির সর্দি নিয়ে ব্যস্ত। শাহবাগের কান্নায় কারও ঠ্যাকা নাই।

আজ ১৫ দিন একটা ভিন্নধর্মী আন্দোলন করে প্রজন্ম চত্বর বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সত্যিই তো! কেউ কি কখনও দেখেছে, না ভেবেছে এমন আন্দোলনের কথা। ৫২ তে ভাষার দাবী, ৬৯ এ জেগে ওঠার দাবী আর ৭১ এ একটা মানচিত্রের দাবী, আন্দোলন তো এমনই হয়। না! আজ আর কেউ বলবেনা । আজ থেকে কেউ, আলাদা করে আন্দোলনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে হঠাৎ থমকে যাবে! তবে ১৫ দিনের এই দ্রোহের আগুনে মূল চাহিদা গুলো ঝলসে যাবে কি না, এমন প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন।

খুব সঙ্গত কারনেই চাওয়া পাওয়ার সঠিক সমন্বয় ঘটবে কি না তা খুব একটা নিশ্চিত নয়। চূড়ান্ত সীমাটা যে ফাঁসি, সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই আমারও। কিন্তু শাহবাগ? সে কতদিন এভাবে উত্তাল থাকবে? আর এটা নিয়ে তো একটা দীর্ঘ রাজনীতিও হয়ে যেতে পারে। তবে কি রাজনৈতিক আবেশের বাইরে থেকেও এমন একটা ফলপ্রসূ আন্দোলন বৃথা হয়ে যাবে গুটি কয়েক নষ্ট রাজনৈতিক চিন্তায়? আর যদি নষ্ট হতে না দেই, তাহলে সমাধানটাই বা কি? পরিকল্পনার লেজের সাথে পর পর, কি বা যুক্ত করা যেতে পারে? এমনই সব চুল চেরা বিশ্লেষণ যখন মাথাটা খারাপ করে রেখেছে, ঠিক তখনি মনে হল, দল মত নির্বিশেষে সবাই যদি শাহবাগে আসে, দুই নেত্রী, যারা আজ বহুদিন একে অপরের চেহারা দেখেননি, হাস্যজ্বল চেহারায় তারা যদি একই মঞ্চে দ্বৈত কন্ঠে শপথ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তবে সেটা হতেও পারে শাহবাগ আন্দোলনের একটা সহজ সমাধান। জানিনা এই সহজ সমাধানে, এই শাহবাগ কান্নায়, তরুণদের আবেদন তাদের কাছে ব্যক্তিগত আক্রোশের চেয়েও বড় কিনা, তবে আশা করি একটা ভাল অধ্যায়ের সূচনাই হবে বই খারাপ হবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।