জানি পৃথিবী থেকে একদিন চলে যেতে হবে তবুও পৃথিবীর রঙলিলা মেথে আছি। হেই প্রভু আমাকে ক্ষমা কর, এই পাপিকে হেদায়েত কর।
বেহেশ্ত নেককারদের জন্য পরম সুখ-ভোগের স্থান। বেহেশ্ত খোদার অফুরন্ত নেয়ামতে ভরপুর। এর বর্ণনা দেওয়া কেউর পক্ষেই সম্ভব নয়।
একমাত্র আল্লাহই এ সম্পর্কে বলতে পারেন।
হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন যে, বেহেশ্তে এমন নিয়ামত রয়েছে, যা দুনিয়ার ছর্ম চক্ষু কখনও দর্শন করেনি এবং দুনিয়াবাসীর কান কখনও শ্রবন করেনি। এমনকি এ ব্যাপারে কেউর কল্পনাও আসেনি।
হুজুর (সাঃ) আরও পরমায়েছেন যে, বেহেশ্তের মধ্যে দুটি বাগান এমন হবে যে, থালা বাটি হতে খাট-পালঙ্ক সব কিছু সোনার হবে। তদ্রুপ আরও দুটি বাগান রুপার হবে।
মোট কথা, বেহেশ্তের যাবতীয় কিছু এমনকি গাছ-পালাও মণিমুক্তা, ইয়াকুত-জমরুদ, সোনা-রুপায় নির্মিত হবে।
সেখানে কোন প্রকার দু;খ-কষ্ট, ক্লান্তি, দুর্গন্দ, পেশাব, পায়খানা, হায়েজ-নেফাস কিছুই হবেনা। সবাই যুবক ও যুবতী হবে এবং তথায় চির যৌবন থাকবে। সেখানে খুশির সীমা থাকবে না। যে যা চাইবে তা-ই পাবে।
পুরুষদিগকে বেহেশ্তের রমনী দেয়া হবে, যাদেরকে হুর’’ বলা হয়। এ হুরদের একেকজন এমন রুপের অধিকারিণী হবে যে, এদের কেও যদি একবার অমাবশ্যার রাতে পৃথীবীর দিকে মুখমন্ডল বের করে তা হলে সমস্ত দুনিয়া আলোকিত হয়ে যাবে। একটি নিঃশাস ছাড়লে দুনিয়া মেশকের চাইতেও অধিক সুগন্দ হবে। একজন নিমন্সতরের বেহেশ্তীকে ৭২ জন হুর দেয়া হবে এবং এই ব্যক্তি সরবো নিমন্সতরের বেহেশ্তী হয়েও এ পৃথীবীর মত দশগুণের সমান পরিমান আয়তনের বেহেশ্তের অধিকারী হবে। নেয়ামত যতই বাড়বে ক্ষুধা মিটবে না, কারণ দুনিয়াবী নেয়ামতেও কারো আশা পুরেনি।
তাই নেয়ামত যতই বেশী হবে ততই বান্দার চাহিদা বাড়তে থাকবে। বেহেশ্তের নেয়ামত সম্পর্কে পবিএ কোরআনে অসংখ্য জ়ায়গায় উল্লেখ রয়েছে। অবশেষে আমরা সবাই বেহেশ্তের আশায় দুনিয়াতে রাসুল (সাঃ) এর পথে চলি, আল্লাহ যেন আমাদেরকে তপিক দান করেন। সবাই বলেন (আমিন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।