এক জন পুরুষ যতই সাহসী ও শক্তিশালী হোক না কেন তার জন্য একটি নারীই যথেষ্ট্য।
৩৫ বছরেরও বেশি আগে নিখোঁজ হওয়া ভাইকে ফিরে পেল তার বোন। এ ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার। আর ভাই-বোনের পুনর্মিলনের দাবিদার সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক। ইন্দোনেশিয়া ডেইলির ইন্টারনেট সংস্করণের ভাষ্যমতে, ১৯৭৪ সালে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে অন্য শহরে পাড়ি দেয় নুরলিয়ান্তি দেহি।
এরপর দুই বছর বড় ভাই আন্টন বোন দেহির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও এক সময় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা। ভাইকে ফিরে পাওয়ার পর দেহি জানায়, ৩৫ বছর ধরে আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম। ফেসবুক আমাদের আবার এক করে দিল। অবশ্য ভাই আন্টন বোনকে ফিরে পাওয়ার আশা যখন এক রকম ছেড়েই দিয়েছিল, তখনই বোন তার সঙ্গে যোগাযোগ করল ফেসবুকের মাধ্যমে। অবশ্য দেহিও প্রথমে সন্দেহে ছিল, যাকে সে খুঁজে পেয়েছে সে আসলে তারই ভাই তো।
পরে নাকি ফোনে কিছুক্ষণ ছেলেবেলার স্মৃতিচারণের পর দু’জনই নিশ্চিত হয়, তারা ভাই-বোন। ফেসবুকে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ। আর তাই ইদানীং ফেসবুকের মাধ্যমে এমন পারিবারিক মিলনের খবর প্রায়ই ওঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে। অবশ্য শুধু ফেসবুক নয়, দিন কয়েক আগে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কল্যাণে বাবা ফিরে পান তার মেয়েকে। ঘটনাটি এ রকম—বাবা-মেয়ে দু’জনই বহুদিন ধরে ইন্টারনেটে পরস্পরের নাম দিয়ে দু’জনকে খুঁজতেন।
কিন্তু বাবার নামটা অনেক বেশি প্রচলিত বলে এই নামে ইন্টারনেটে খুঁজলে একই সঙ্গে কয়েকশ’ লোকের নাম চলে আসত। আর তাই মেয়ে অ্যান্থনিও বুঝতে পারত না কে তার বাবা। তাছাড়া বাবা সম্পর্কে খুবই অল্প তথ্য জানত অ্যান্থানিও। কিন্তু খুঁজতে খুঁজতে একদিন ঠিকই পেয়ে যায় সত্যি সত্যিই তার বাবা স্কট রবার্ট বেকারকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।