আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোপেনহেগেন সম্মেলনঃ গরিবের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ



কোপেনহেগেন সম্মেলনঃ গরিবের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ গোলাম মোর্তোজা, সম্পাদক, সাপ্তাহিক (লেখকের অনুমতি নিয়ে প্রকাশিত) ব্যর্থ বলতে যদি আমাদের লজ্জা লাগে, তবে অসফল বলতে পারি। তাতে লজ্জার পরিমাণ হয়ত কিছুটা কমতে পারে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের কথা বলছি। কোপেনগেহেন থেকে জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে একটি লেখাও লিখেছিলাম। সেই লেখার পরে আবারো একই বিষয় নিয়ে লেখার প্রয়োজন ছিল না বলেই মনে হয়েছিল।

কিন্তু সম্মেলন শেষ হয়ে গেলেও রেশ রয়ে গেছে। কোপেনহেগেন সম্মেলন নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে পৃথিবী জুড়েই। তবে বাংলাদেশে এখনকার আলোচনাটি একটু অন্যরকম। অন্য কোনো দেশের আলোচনার সঙ্গে যা মিলবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড· হাসান মাহমুদ বলছেন কোপেনহেগেন সম্মেলন সফল হয়েছে।

সেখানে বাংলাদেশ গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন সম্মেলনে বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ কোপেনহেগেন সম্মেলনও দুই দলীয় রাজনীতির যে চিত্র তার বাইরে বের হতে পারেনি। ২· বিশাল আশা-প্রত্যাশা জাগানো সম্মেলন শেষ পর্যন্তô কোনো পরিণতিতে পৌঁছায়নি। কোপেনহেগেন সম্মেলনের অর্জন প্রায় শূন্য।

প্রায় বললাম এ কারণেই যে শেষ পর্যন্তô লোক দেখানো একটি রাজনৈতিক ঘোষণা এসেছে। যার সামান্যতম কোনো দালিলিক মূল্য নেই। কিয়োটো প্রটোকলে যে বাধ্যবাধকতাগুলো ছিল, তেমন কিছুই কোপেনহেগেন ঘোষণায় নেই। কোপেনহেগেন সম্মেলনের ঘোষণা অনেকটা আমাদের দেশের রাজনীতিকদের প্রতিশ্রম্নতি দেয়ার মতো হয়েছে। প্রয়োজনের সময় তারা প্রতিশ্রম্নতি দেবেন, নিজেদের প্রয়োজনে আবার ভুলেও যাবেন।

কোপেনহেগেন ঘোষণাও তেমনটাই। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কিছু একটা বলার জন্যই বলেছেন। আমেরিকাসহ ক্ষমতাধর কিছু দেশ কিয়োটো প্রটোকলও এখানে বাতিল করে দিতে চেয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্তô তারা সফল হয়নি। দেশের আলোচনার প্রসঙ্গে ফিরে আসি।

বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে না সফল হয়েছে? যেখানে পুরো সম্মেলন ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের সফল হবার তো সুযোগ নেই। তার পরও একই সঙ্গে বলা যায় ‘সফল’ এবং ‘ব্যর্থ’ দু’দিকেই বাংলাদেশের পালস্না বেশ ভারি। প্রথমে সাফল্য নিয়ে কথা বলি। শুরম্ন থেকেই বাংলাদেশ আমেরিকা, ভারত, চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতাধররা নিজ নিজ স্বার্থ নিয়ে যখন বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চেয়েছে, তখন বাংলাদেশ পুরোপুরিভাবে তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়নি।

ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশ সব সময়ই এমন কথা বলেছে। ভারত, চীন, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা এ অবস্থানের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ তার অবস্থা থেকে সরে আসেনি। আমেরিকার সঙ্গে যখন বাংলাদেশ কথা বলেছে তখনো কিয়োটো প্রটোকলের পক্ষেসহ সব কিছুই পরিষ্কার করে বলেছে।

বিশেষ করে প্রতিমন্ত্রী ড· হাসান মাহমুদ কোপেনহেগেনে পৌঁছানোর পর নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী নেগোসিয়েটরদের একথা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেন যে, আমরা কারো দ্বারা ব্যবহৃত হব না, দেশের স্বার্থে যে কথা বলা দরকার সে কথা আমরা বলব। প্রতিমন্ত্রীর এই মনোভাবে দলের ভেতরে গতিসঞ্চার হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ড· হাসান মাহমুদ যোগ্যতা এবং দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রতিনিধি দলে বেশ কয়েকজন সুবিধাবাদী সদস্য ছিলেন যারা ইচ্ছামতো প্রতিমন্ত্রীকে ব্যবহার করতে পারেননি।

প্রতিমন্ত্রী তাদের কথা শুনেছেন, কিন্তু কাজ করেছেন নিজের মতো করে। বিষয়টি তার নিজের জানা এবং পড়া থাকায় হয়ত সুবিধা হয়েছে। ৩· এবারে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে কিছু কথা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা কত ছিল? এটা কারো জানা ছিল না। অদ্‌ভুত শোনালেও এটাই সত্যি।

গত লেখায় লিখেছিলাম ৯৩ জন। কিন্তু পরে জানা গেল এটা সঠিক সংখ্যা নয়। সঠিক সংখ্যা নাকি ১১০ জনের মতো। এমন অবস্থা হবার কারণ কী? কারণ একটাই, সমন্বয় না থাকা। এমপিসহ সরকারি লোকজনদের শখ হয়েছিল কোপেনহেগেন যাবার।

বিভিন্নভাবে চেষ্টা-তদ্বির করে তারা গেছেন। কেন গেছেন, গিয়ে কী করবেন- এটা তারা জানতেন না। তাদেরকে জানানোর চেষ্টাও কেউ করেনি। প্রতিমন্ত্রীসহ দশ জনের একটি সরকারি প্রতিনিধি দলই যথেষ্ট ছিল। ১১০ জনের বেড়াতে যাবার কোনো দরকার ছিল না।

মন্ত্রণালয় কাজটি তদারকি করতে পারেনি। যদিও এ ক্ষেত্রে বলা হবে, সরকারের কোনো অর্থ খরচ হয়নি। শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রী নিজে গেছেন সরকারি খরচে। অন্যদের খরচ বহন করেছে কয়েকটি এনজিও। কিন্তু এনজিওরা যে অর্থ খরচ করেছে সেটা তো দেশের গরিব মানুষেরই অর্থ।

সেই অর্থ কেন ভ্রমণে খরচ করা হবে? এটা দেখার দায়িত্ব ছিল মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় তা করেনি বা করতে পারেনি। লোকজন যাবার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ও ভূমিকা রেখেছে। ফলে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের আসলেই হয়ত তেমন কিছু করার ছিল না। ৪· সরকারি প্রতিনিধি দলের কার্যক্রমে আরো একটি গুরম্নতর বিষয় লক্ষ্য করা গেছে।

সরকারি নেগোসিয়েটরের কার্ড ঝুলিয়ে বেলা সেন্টারে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু দেশের পক্ষে কোনো নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। এমন অভিযোগ রয়েছে কারো কারো বিরম্নদ্ধে। যেমন ড· আতিক রহমান। তার প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ বড় দল নিয়ে গেছেন তিনি।

নিজে একজন সরকারি নেগোসিয়েটর। কিন্তু সরাসরি প্রতিনিধি দলের হয়ে কোনো নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ নেননি। অথচ দেশের মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে বার বার। কারণটা বেশ রহস্যজনক। বড় দলে সবাইকে নিয়ে যাওয়াটাই হয়ত বড় কারণ! সরকারি নেগোসিয়েটরের কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিজের এনজিওর ফান্ড যোগানোর কাজে ব্যস্তô থাকা কতটা গ্রহণযোগ্য? কেউ একজন হয়ত এমন কাজ করছেন।

কিন্তু সেটা দেখার জন্য সরকারের কেউ থাকবেন না? যিনি এটা করছেন তিনি হয়ত বলবেন ‘সাইড ইভেন্ট’ও অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের সাইড ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। ‘মূল’ কাজ বাদ দিয়ে ‘সাইড’ কাজ কতটা যুক্তিসঙ্গত? আর সাইড ইভেন্টে অংশ নেয়ার জন্য তো সরকারি নেগোসিয়েটর হবার দরকার নেই। প্রতিনিধি দলে আরো দু’জন সদস্য ছিলেন, যারা সরাসরি বিশ্বব্যাংকের স্বার্থ দেখার চেষ্টা করেছেন। এদের একজন জলবায়ু তহবিলের অর্থের ম্যানেজমেন্ট যাতে বিশ্বব্যাংকের হাতে থাকে, সরাসরি এই মতবাদে বিশ্বাসী।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি জোর দিয়েই একথা বলতেন। এখন এই সরকারের অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তিনিও একথা এখন আর জোর দিয়ে বলছেন না। ইতোপূর্বে বিএনপি ঘোষিত একটি প্রতিনিধি দলেও তার নাম ছিল। যদিও তখন বলেছিলেন তিনি কোনো দলের নন।

সামান্য সাক্ষাতেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তিনি কাজ করার সুযোগ চেয়েছেন। সরকারি প্রতিনিধি দলের বড় দুর্বলতা ছিল বিশ্বব্যাংকের স্বার্থ দেখা সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা। এদের ওপর গুরম্নত্ব দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে অবহেলা করা হয়েছে। যোগ্য এসব কর্মকর্তা কথা বলতে গেলেই এই সদস্যরা ধমক দিয়ে তাদের বসিয়ে দিয়েছেন। যদিও ড· কাজী খলীকুজ্জমানের মতো অর্থনীতিবিদ দলে থাকায় দেশের স্বার্থে কাজ করা অন্যদের জন্য কিছুটা সহজ হয়েছে।

৫· মূল সম্মেলনের বিপরীতে ‘ক্লিমাফোরাম ’০৯ঃ পিপলস্‌ সামিট’ নামে আরেকটি সম্মেলন আয়োজন করেছিল। এটা আয়োজন করেছিল ইউরোপের সিভিল সোসাইটি, এ্যাকটিভিস্টরা। যারা লক্ষাধিক লোকের প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল। এরা ইউরোপে খুবই প্রভাবশালী। সরকারের নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে এদের মতামত গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শুরম্ন থেকেই কোপেনহেগেন সম্মেলনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ছিল না। এ সম্মেলন থেকে যে কার্যকর কিছু হবে না, সেটা তারা আগে থেকে বলছিল। তাদের স্স্নোগান ছিল, ‘নট ক্লাইমেট চেঞ্জ, সিস্টেম চেঞ্জ’। মূল সম্মেলন কেন্দ্র থেকে দু’তিন কিলোমিটার দূরে ডিজিআইবিয়েনে আয়োজন করা হয়েছিল ‘পিপলস সামিট’। ইউরোপের হাজার হাজার এ্যাকটিভিস্ট অংশ নিয়েছে পিপল্‌স সামিটে।

এখানেই ছিল সাপ্তাহিক এবং ইকুইটিবিডির ছবি প্রদর্শনীর স্টল। ইউরোপের মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে বাংলাদেশ বিষয়ে। বাংলাদেশ বিষয়ে যারা খুব কম জানেন। ছবির মাধ্যমে জলবায়ুর পরিবর্তন তুলে ধরায় বিষয়টি বোঝা তাদের জন্য অনেক সহজ হয়েছে। ক্লিমাফোরামের যে মূল ক্যাটালগ সেটাতেও এই প্রদর্শনীর পাঁচটি ছবি ছাপা হয়েছিল।

ডেনমার্ক, সুইডেন, জার্মানি, ইতালি··· প্রভৃতি দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছবি প্রদর্শনীর বিষয়টি উলেস্নখ করে বাংলাদেশের সংবাদ প্রকাশিত-প্রচারিত হয়েছে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি বাংলাদেশের মিডিয়ায় ক্লিমাফোরামের সংবাদ আসেনি বললেই চলে। আমাদের সরকারি প্রতিনিধি দলেরও এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশীদ ক্লিমাফোরামের অনুষ্ঠানে এসে দু’তিন হাজার দর্শকের মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে দীর্ঘ এক ঘণ্টা বক্তৃতা করেছেন। এখানে এসে কথা বলেছেন বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডরের সরকারি প্রধান নেগোসিয়েটররাও।

বাংলাদেশের কয়েকজন নেগোসিয়েটরও একদিন সন্ধ্যায় বেড়াতে এসেছিলেন! কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো নয়ই, প্রতিমন্ত্রীও কখনো এখানে আসার প্রয়োজন মনে করেননি। যদিও তাদের বিষয়ে ইউরোপের এই আয়োজকদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কিন্তু তারা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে এখানে আনতে পারেননি। ফলে ইউরোপের সিভিল সোসাইটি, এ্যাকটিভিস্ট, সাধারণ জনমানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে বাংলাদেশ অনেকখানি ব্যর্থ হয়েছে। যেখানে অনেকখানি সফল হয়েছে মালদ্বীপ।

৬· বাংলাদেশ থেকে তিনশ’র উপরে মানুষ গিয়েছিল কোপেনহেগেনে। এর মধ্যে সরকারি প্রায় ১১০ জনের কথা আগে বলেছি। মিডিয়া, এনজিওর আরো প্রায় দু’শ মানুষ একই সময়ে কোপেনহেগেনে ছিল। সরকারি প্রতিনিধিদের মতো এনজিওদের ভেতরেও কোনো সমন্বয় ছিল না। ফলে বাংলাদেশ তার সরব উপস্থিতি জানাতে পারেনি ইউরোপবাসীকে।

তাই শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বেসরকারিভাবে যারা গেছেন তারাও। তবে সরকার যদি সবাইকে নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করত তাহলে হয়ত এমনটা ঘটত না। ড· আতিক রহমানরা সরকারি পরিচয় বহন করে, বাংলাদেশ নাইট করে গরিব মানুষের অর্থ অপচয় করতে পারতেন না। ৭· সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি।

এখনো সময় আছে। বিষয়টি নিয়ে আরো অনেক আলোচনা হবে। সরকারের এখন থেকেই সেই কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা প্রয়োজন। দেশ প্রেমিক বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন এ কাজের সঙ্গে। সরকারি পর্যায়ের দক্ষ, যোগ্য, কমিটেড কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

এমন কর্মকর্তাদের এ কাজে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন যারা দীর্ঘদিন এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন। আজ এ মন্ত্রণালয়ে, কাল আরেক মন্ত্রণালয়ে এমন আমলাদের হাতে দায়িত্ব পড়লে তারা কাজের কাজ কিছু করতে পারবেন না। একজন দায়িত্বে থেকে অনেক দিন কাজ করবেন এমন কর্মকর্তা অপরিহার্য। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি জানেন, বোঝেন। তারপক্ষে নেতৃত্ব দেয়া তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ।

তবে প্রতিমন্ত্রীকে অবশ্যই অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে প্রতিনিধি দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্টদের সরকারি দলে অন্তôর্ভুক্তি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। তরম্নণ অনেক গবেষক আছেন দেশে, বর্তমান দলে এমন দু’একজন ছিলেন, তাদের আরো বেশি গুরম্নত্ব দিলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। প্রদর্শনীর জন্য ছবি দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন ফটোগ্রাফার দীন মোহাম্মদ শিবলী, রাশেদুজ্জামান, সালাউদ্দিন টিটো এবং সুন্দরবনের দু’টি ছবি দিয়েছিলেন প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার সিরাজুল হোসেন http://www.shaptahik.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.