ভেঙ্গে পড়ে সাবেকী বিশ্বাস,
এক রৈখিক সময়ে
-আবু মকসুদ
স্কন্ধকাটা ভাবুক শুনিয়ে যায় অমৃত বাণী
কান পেতে শুনো তার ভাবের আলাপ !
খেয়াল করো, দেখো কত ধানে দিচ্ছে সে কত চাল
অর্বাচীন, লিখে রাখো কিংবা ধরে রাখো এ মধুর আলাপন
এই সেই, দাঁত দিয়ে এক কালে কেটেছে শ্যামলা হরিণী
আমাদের সেই এক রৈখিক সময়ে, দাঁত দিয়ে ........
অশ্রু বিসর্জনে পুড়িয়ে দেহ কি লাভ
এখন রুদ্ধ দিন, পিশাচের কাল
জন্মাক অসংখ্য পোশাকের মানুষ
হেঁটে হেঁটে ফিরে যাক সেই সব অন্ধকারে
মিথ্যে অশ্রু বিসর্জন , আবারো কাটা হোক মাটির পাহাড়
রক্ত ঝরুক, পথের কুকুরেরা কেবল দাপটে বেড়াক
নিয়ে যাক শ্যামলা হরিণী সেই খাদের কিনারে
অরণ্য গভীর দিনে, আবার কাটাকুটি হোক
রক্তাক্ত শরীরে হোক শকুনের ভোজ !
ওই শ্যামলা হরিণী ওটাই আমার দেশ
একদা জ্বলেছিলো সাহসের বিনিদ্র আগুন
আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ছিলো বুনো ষাঁড়, পাগলা মহিষ
ভেঙ্গেছে তারা, মেতে ছিলো ভাঙার খেলায়
জ্বালিয়েছে মশাল, শ্যামলা হরিণী ঘিরে পুড়িয়েছে বুকের আগুন
হুল্লোড় হাতছানি ভুলে লিখেছিলো চিঠি অনাগত কালের পানে
দলছুট সেই সব পূর্বজদের ঘর আজ আঁধারে ছেয়েছে
বয়েসী বটের নীচে একদা যে বাউল
সে আজ দেশান্তরী, তার কণ্ঠ যেন সুরহারা কাকের কর্কশ
গুহার বাইরে যারা বীরদর্পে দাবিয়েছে তেজী কালাপাথর
এখন তাদের উল্লেখ ক্বচিৎ, তাদের উত্তরাধিকার নপুংসক সব
স্কন্ধকাটা ভাবুক তাই শুনিয়ে যায় অমৃত বাণী ----
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।