পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠের এখন বেহাল দশা। ঈশ্বরদীর অন্যতম প্রাচীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্রসংখ্যা কমতে কমতে ১২৪ জনে এসে ঠেকেছে। ১৭ জন শিক্ষকের স্থলে আছেন চারজন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯২৪ সালে বাবু জগীন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্ত তাঁর মা চন্দ্রপ্রভা দেবীর নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। একসময় আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে এখানে ছাত্ররা ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতা চলত।
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কবি শঙ্খ ঘোষ এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র।
সূত্র আরও জানায়, ১৯৮৫ সালে রেলওয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সময় এখানে এক হাজার ছাত্র ও ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী ছিল। এর পর থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক চারজন। সংস্কারের অভাবে স্কুল ভবনের প্রতিটি কক্ষ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী।
প্রধান শিক্ষক দেবদাস স্যান্নাল জানান, এই জরাজীর্ণ অবস্থার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের চারপাশে ঈশ্বরদী ইপিজেড কর্তৃপক্ষ প্রাচীর নির্মাণের ফলে স্কুলে আসা-যাওয়ার সহজ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পর্যায়ক্রমে ছাত্র কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের খেলার মাঠসহ অনেক জমি বেদখল হয়ে গেছে। মাত্র চারজন শিক্ষকের পক্ষে সব শ্রেণীতে (পঞ্চম-দশম) ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না।
নবম শ্রেণীর ছাত্র শফিকুল ইসলাম জানায়, শিক্ষক-সংকটের কারণে মাসে এক দিনও ঠিকমতো ক্লাস হয় না। অনেক সময় শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ছুটির ঘণ্টা পড়ে যায়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) পঙ্কজ কুমার সাহা জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) বরাবর একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না
আমি এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র । স্কুলটিকে কি কোন ভাবেই বাচানো যায় না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।