আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপসংষ্ক্বৃতির বিরুদ্ধ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের মানব বন্ধন



গতকাল ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির সামনে মাহাখালী গুলশান সংযোগ সড়কের উপর বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা চলমান অপসংষ্ক্বৃতি ও আমাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাস পরিপন্থি মিডিয়া আগ্রাসনের বিরিদ্ধে মানব বন্ধনের আযোজন করে। তাদের প্রকাশিত লিফলেট আসুন আমরা সবাই মিলে রক্ষা করি আমাদের ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি ও বিশ্বাস অস্হিরতা, হতাশা ও বঞ্চনার শিকার তরুন সমাজ। চাকরির অনিশ্চয়তা, সামাজিক অবক্ষয় ও নিরাপত্তাহীনতা, অর্থনৈতিক দূরবস্হা ও রাজনৈতিক অস্হিতিশীলতায় যুব সমাজ অতিষ্ঠ ও ক্ষিপ্ত। রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি সবই আজ কিছু অসাধু স্বার্থান্বেশী মানুষের করায়ত্বে, যাদের অপশাসন ও লুটপাট অব্যাহত। ধ্বংস ও অবনতির এই তলানী থেকে রাষ্ট্র ও সমাজকে উন্নতি ও সম্মৃদ্ধির শীর্ষে তুলে জনগনের মুক্তি কেবল তারুন্যের হাত ধরেই সম্ভব।

ই তাইতো এই যুব সমাজকে ঘীরে দেশী-বিদেশী নানা অসাধু মহল তৎপর। যুবকদের চিন্তা চেতনায় ও শারীরিকভাবে বিকল করার সব ধরনের অপপ্রয়াস চলছে এবং প্রতিনিয়ত এর পরিধি প্রসারিত হচ্ছে। তরুনদের দেশ গড়া ও উন্নতির শীর্ষে ওঠার যোগ্য কারিগর রুপে তৈরী করার পরিবর্তে তাদের কাছে সহজলোভ্য করা হচ্ছে নেশাদ্রব্য ও অস্ত্রের আস্তানা। ফলশ্রুতিতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যকলাপে যুব সমাজের অসম্পৃক্ততা সামাজিক অস্হিতিশীলতা বৃদ্ধি করছে। এছাড়াও যুব সমাজকে কুয়োর ব্যাঙ্গ বানিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে তাদের ধ্যান- জ্ঞান শুধুমাত্র ব্যস্ত রাখা হচ্ছে গান, সিনেমা, নাটক, খেলাধুলা, ফেসবুক, পার্টি এবং বাজে আড্ডায়।

ঐতিহ্যগত ভাবেই গান মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা, সাহস ও ঐক্যের আহবান করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইদানিংকার গান আমাদের হতাশা, বিরহ এবং অশ্লীল ভিডিও ছাড়া কিছুই দেয় না। তাইতো ডিজুস সাহস পায় সেই ভয়ংকর আহবানে " বন্ধু, আড্ডা, গান...... এখানেই হারিয়ে যাও''। সিনেমা, নাটক সংষ্কৃতির শক্তিশালী হাতিয়ার, যদিও ইদানিং এসব শুধুই কিছু মানুষের অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হওয়ার সহজ উপায় মাত্র। এর থেকেও ভয়ংকর ব্যাপার হলো সস্তা মজার আড়ালে যে চিন্তাগুলো নাটক, সিনেমার মাধ্যমে সমাজে বিস্ফোরন ঘটানো হচ্ছে।

এক্ষেত্রে মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ও তার অনুসারীদের কথা না বললেই নয়। অধুনিকতা ও সৃজনশীলতার নামে এবং রসিকতার ছলে সমাজে 'লিভটুগেদার' এর চিন্তা তারা বিলি করে বেড়াচ্ছে। তার পরিনাম কি ভয়াবহ হবে আমরা কি তা ভেবে দেখেছি। অনৈতিক এই সম্পর্ক স্হাপনের কারনে পারিবারিক অবিশ্বাস, অশান্তি এবং সংসার ভঙ্গের পরিনতি বরণ করতে হবে আমাদের, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যোও ভয়ংকর। এছাড়া মোবাইল ফোনের অপপ্রয়োগের দীক্ষা এবং অশ্লীল ভাষা ফ্যাশনে পরিনত করার এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে এসব সিনেমা-নাটকের মাধ্যমে।

এভাবেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অসভ্য সংষ্কৃতি সুন্দর মোড়কে ও আকর্ষণীয় উপস্হাপনার মাধ্যমে পরিচিতি পাচ্ছে। তাই তরুন সমাজকে সচেতন ও সক্রীয় থাকতে হবে এসব অপসংষ্কৃতি রোধে। তরুনরাই পারে চিন্তার মাধ্যমে ভাল ও খারাপের পার্থক্য নিরূপন করতে এবং সত্যের পথ অবলম্বন করতে। একমাত্র সত্যের পথই হতাশা ও অস্হিরতা নিরসনকল্পে উন্নতির পথ। তারুন্য এক অদম্য শক্তি যা সত্যের পথে চলতে গিয়ে কখনো ভয় পায় না এবং যার উত্থানে বিজয়ের স্বাদ অবধারিত।

ইতিহাসের যত চড়াই=উৎরাই তার সবই তারুন্যের হাত ধরে। তরুনরাই সমাজের উন্নতি, অগ্রযাত্রা ও মুক্তির প্রধান কান্ডারী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।