আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

3rd পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার- ভিতর-বাহির যেখানে বিন্দু হারিয়ে লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য বিন্দুতে...

আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..

চায়ের স্বাদটা কেমন সেটা আমি অন্যের মুখে শুনে নয়, নিজেই পরখ করে দেখতে চাই, যদি চায়ে আসলেই রুচি জন্মায়। যে কোন সিনেমা বা বই পড়ার ক্ষেত্রেও এই চা-তত্ত্বটা খুব টনিকের কাজ করে আমার ক্ষেত্রে। কোন সিনেমা-উপন্যাস সীমা ছাড়ানো আলোচনা বা সমালোচনা পেলে সেটিও তখন আমার কাছে চা হযৈ উঠে, এবং সেটাকে আস্বাদন করা না পর্যন্ত স্বস্তি আসেনা। এবারকার চায়ের নাম মোস্তফা সারোয়ার ফারকী পরিচালিত বাংলা সিনেমা থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার। তার আগে কয়েকটা পয়েন্ট উল্লেখ করা প্রয়োজন: #ফারুকী গ্রুপের নাটকগুলোর অধিকাংশকেই জঘন্য লাগে; কোন কাহিনী ছাড়াই ৪০-৪৫মিনিট পার করে দেয়ার ফাকিবাজি, আর চিৎকার-চেচামেচির মাধ্যমে সৃষ্ট একটা ভিডওগ্রাফির গণ্ডি পার হতে পেরেছে এই গ্রুপের খুব কম কাজই।

তবে ব্যক্তিগতভাবে ফারুকী লোকটাকে আমার অসম্ভব প্রতিভাবান মনে হয়। বিভিন্ন সময়ে তার করা বিজ্ঞাপনচিত্রগুলো আমার সেই ভাবনাকে আরো জোরালো করেছে, আবার তারই কিছু বিজ্ঞাপনকে চরম ফালতু লাগে; অর্থাৎ তাকে আখ্যায়িত করতে পারি এক্সট্রিমিস্ট হিসেবে; হয় অসাধারণ , নয়তো কিছুই নয়- মধ্যবর্তী বলতে কোন স্তরের অস্তিত্ব থাকবেনা। #ইদানীং বাংলাদেশে নতুন একটা ধারণা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, এবং মনপুরার সাফল্যের পর এই ধারণাটা এখন যে বস্তাপচা করে ফেলা হবে সেটাও বেশ বোঝা যাচ্ছে। ধারণাটা হল, সিনেমা মুক্তির অন্তত বছরখানেক আগে থেকে এর গানগুলো বাজারে ছেড়ে দিন, এরপর সেই গানগুলো একবার বাজার ধরে ফেললে কোনরকমে একটা কাহিনী দাঁড় করিয়ে দিলেই হল; তেলের দামের মত করে উর্ধ্বগতিতে পয়সা চলে আসবে প্রযোজকের হাতে; শেষপর্যন্ত পয়সা কামানোই তো লক্ষ্য, শিল্প একটা চটকদার বাহানা মাত্র! থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বারের গানগুলোও আমরা অনেকদিন ধরে শুনছি, সিনেমার "দ্বিধা" গানটা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে ঘুরে এখন হয়ত বিশ্রামেও গেছে, নতুন করে আবার মুখে ফিরে আসতে। সুতরাং প্রচারণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য মনপুরার মত এখানেও পুরোপুরি সফল।

এবং অনুমান করছি, মিশা সওদাগর-কাবিলা-পপি-শাহীন আলম অভিনীত "কোটি টাকার বস্তা" নামের মত কোন স্থূল বাণিজ্যিক সিনেমাতেও হয়ত অচিরেই দেখবো এই তত্ত্ব খাটাতে। এটা ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক হবে, সেই আলোচনা এই লেখার সাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক নয়; এ নিয়ে পরে অন্য কোন লেখায় কথা হবে। # ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে সিনেমার নামে মন্থরগতির যে ভিডিওগ্রাফিগুলো প্রযোজনা করা হয়, সেগুলোর পরিচয় নিয়ে প্রায়ই সঙ্কটে ভুগি আমি। না নাটক, না সিনেমা, কোনটাই হয়না, অনেকটা ময়ুরের পেখম লাগানো দাড়কাকের মত লাগে। যদিও সেই তথাকথিত সুস্থধারার চলচ্চিত্রগুলোই পুরস্কার পায়, কিন্তু এদেশের অন্যান্য অনেক কিছুর মত পুরস্কারটাও এত খেলো একটা স্মারকে পরিণত হয়েছে যে যাদেরকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তারা বরং বিব্রতই হন।

সিনেমাটা দেখতে যাওয়ার আগে মোটামুটি এই নেতিবাচক ধারণাগুলোই আমার সঙ্গী ছিল, সিনেমাটা দেখার পর তার কতটুকু দূর হল সেটা বলছিনা; বলতে চাচ্ছি সিনেমা পরবর্তী ভাবনার কথা। 'সিনেমার কাহিনী মোটেই আহামরি কিছু নয়' শুরুতে এমনটাই মনে হয়েছিল, এখনও সেখান থেকে খুব একটা সরিনি, তবে এই গতানুগতিক কাহিনীর মাঝেও বিশাল একটা চমক আছে। সিনেমার মূখ্যচরিত্র তিশা এবং সহযোগী চরিত্র মোশারফ করিম আর গায়ক তপু (পার্শ্বচরিত্র নয়), এছাড়া ছোট ছোট ফিলার চরিত্র আছে সিনেমাজুড়েই; পুরুষ চরিত্রগুলো প্রায় একইরকম; সাধারণত যেমনটা হয়ে থাকে- "পুরুষের বয়স আর অর্থনৈতিক অবস্থা যেমনই হোক প্রতিটি পুরুষের ভেতরেই একটা মাংশাসী জন্তু থাকে, সেই জন্তু শুধুই নারী মাংসের সন্ধান করে, কিংবা পুরুষমাত্রই সুযোগসন্ধানী"..দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অতিসরলীকৃত বাস্তবটাই এ সিনেমার পুরুষ চরিত্রগুলো বহন করে গেছে। সিনেমার প্রথম দৃশ্যের তরুণ, ব্যবসায়ী, বান্ধবীর স্বামী, আবুল হায়াত , এমনকি গায়ক তপু, কেউই এই ধারণার বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি। কেউ অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে চায়, কেউ চায় প্রলুব্ধ করে সুযোগ নিতে; পার্থক্য বলতে এটুকুই।

তিশার স্বামী মোশারফ সাজাপ্রাপ্ত আসামী, এরপর শ্বশুরবাড়িতে তার আশ্রয় হয়না, মায়ের কাছেও সে থাকেনা তার প্রতি ঘৃণা থেকে, কারণ তার মা তার বাবাকে তালাক দিয়ে প্রাক্তন প্রেমিককে বিয়ে করেছে, এই অপরাধ সে ক্ষমা করতে পারেনা। খালাত বোনের বাড়িতেও বেশিদিন থাকতে পারেনা, একা একা থাকার বিশাল যন্ত্রণা তাকে পদে পদে মোকাবিলা করতে হয়। এসময়ই গায়ক তপুর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়; তপু তিশার ছোটবেলার বন্ধু, একসময় তিশার প্রতি তার দুর্বলতাও ছিল, কিন্তু যে কোন কারণেই হোক সেটা আর সম্পর্কে গড়ায়নি; এতদিন পরে তপুই তাকে সবরকম সাহায্য করে, বাড়ি ভাড়া করে দেয়, মোশারফের কেস লড়ার টাকা দেয়, এবং তার মুক্তির ব্যবস্থাও করে। ততদিনে তপুর প্রতি তিশার ভাললাগাটা একটা আকার ধারন করে। স্বামী নাকি ভাল লাগা, কোনটাকে সে বেছে নেবে সেই দ্বিধা তার কাটেনা সিনেমার শেষ পর্যন্তও।

মোটামুটি এটাই হচ্ছে সিনেমার খসড়া কাহিনী। তবে এই খসড়ার উপরে আরও কিছু কাজ করা হয়েছে, ফলে এই সরল গল্পই আমাদের ভাবিয়েছে। গল্পের এই ভাবনাটা বেশ সাহসী; তিশার সঙ্গে মোশারফের বিয়েটা যেমন কোন নিয়ম মেনে হয়নি, কেউ কেউ এটাকে বলবেন লিভ টুগেদার। এখানে একটা বিশাল প্রশ্ন তৈরি করে। সেইসাথে সিনেমাতে কিছু সংলাপ আছে যেগুলোকে একটু আদি রাসাত্মক ইঙ্গিতের মত লাগতে পারে।

আগের সেই প্রশ্নটা আরও দীর্ঘ হয় যখন তিশা আর মোশারফের সঙ্গে থাকতে চায়না তপুর প্রতি আসক্তির কারণে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের পিউরিটান মন হই হই রব তুলতে পারে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে। কিন্তু চারপাশ খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, চিত্রনাট্যকার আমাদের কোন অবাস্তব সত্যকে গিলতে বাধ্য করেননি; নৈতিকতার স্খলন যে পর্যায়ে পৌছে গেছে, তাতে এটা হতেই পারে। তবে এর প্রয়োগটা বড্ড বেশি তাত্ত্বিক হয়ে গেছে; একজন নারী তার স্বমীর সঙ্গে থাকতে চাইছেনা, তার স্বামীও এতে রাজী, কিন্তু বাসা ভাড়া ও অন্যান্য সমস্যার কথা বিবেচনা করে দুজনে একই বাসায় থাকতে চায় , তবে সেটা বন্ধৃ হিসেবে, স্বামী-স্ত্রীর মত নয়; আবার তপু কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছে তিশাকে নিয়ে, সঙ্গে মোশারফও গেল; এটাকে কী বলা যায়? ওয়েস্টার্ন আইডিওলজি , আমাদের ওভারস্মার্ট চিন্তা-ভাবনা, নাকি হঠাৎ করেই শিশু হয়ে যাওয়া? কারণ শৈশবে নৈতিকতার প্রশ্নটি সেভাবে জন্ম নেয়না, সুতরাং দুটি ছেলে শিশুর সাথে একটি মেয়ে শিশুর বেড়ানোকে কেউই ধর্তব্যের মধ্যে আনেনা। কিন্তু সেটা যেহেতু হচ্ছেনা, তাই এই প্রশ্নটি আমাদের থেকেই যাবে।

পরিচালক কোন সমাজ সংস্কারক নন, আবার পরিচালক তার সামাজিক দায়বদ্ধতাকেও অস্বীকার করতে পারবেননা, অন্যদিকে সমাজে লিভ টুগেদারের দৃষ্টান্ত ক্রমেই বাড়ছে। সেক্ষেত্রে পরিচালক কোন পক্ষ নেবেন, সেটা একটা প্রশ্ন বটে। আর্টস্টিক পয়েন্ট থেকে দেখলে পরিচালক সঠিক পক্ষটাই নিয়েছেন ঘটনাটাকে ঝুলিয়ে রেখে, কিন্তু পিউরিটান বিশেষ করে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে, পরিচালক একটা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তাই প্রশ্নটা আসা স্বাভাবিক, চলচ্চিত্রে কোনটা প্রোমোট হবে- আর্টিস্টিক পয়েন্ট, নাকি আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট? এই বিতর্কের কোন গ্রহণযোগ্য সমাধানে বোধকরি কখনই আসা যাবেনা। অভিনয়ের প্রসঙ্গে বললে, আবুল হায়াত তার স্বল্প উপস্থিতিতেও চরিত্রের মাঝে ছিলেন- পানের পিক ফেলা, মোবাইল নিয়ে ছোটা, এই দৃশ্যগুলোতে আসলেই তার মুন্সিয়ানা চোখে পড়ে।

কচি খন্দকারের চরিত্রটাকে মনে হয়েছে ভাই-বেরাদার কোটায় স্থান পাওয়া; যথারীতি নিজের বয়স নিয়ে নিম্নমানের রসিকতা (সব নাটকেই যেটা করে থাকেন) আর সাদা দাড়িতে কলপ লাগিয়ে গাড়িতে বসে থাকা ছাড়া এ সিনেমায় তার কোন অবদান নেই মনে রাখার মত। তিশার অফিসের বাপ্পী চরিত্রটি সে তুলনায় অনেক প্রাসঙ্গিক; সে তার কাজের প্রতি সৎ থাকতে চেয়েছে, তিশার প্রতি ঈর্ষাও করেছে, কিন্তু কোন সুযোগ খোঁজেনি; এই একটিমাত্র চরিত্র অন্য পুরুষ চরিত্রগুলোর প্রতিকূলে গিয়েছে। মোশারফের চরিত্রে হয়ত অনেক কিছু করার সুযোগ থাকতে পারত, কিন্তু চিত্রনাট্যকার তার ভূমিকা অল্প কিছু সংলাপে আটকে রেখেছেন বলে চরিত্রটা বিকশিত হয়নি, তবুও সু অভিনয় করে গেছেন। বিশেষ করে জেল থেকে বেরুনোর পরে 'সবকিছু বদলে গেছে' ধরে নিয়ে যেভাবে পুরনোকে খুঁজছিলেন আর অবাক হচ্ছিলেন, সেটা চোখে পড়বার মত। এর বাইরে তার প্রতি চিত্রনাট্যকারের অবহেলাই চোখে পড়েছে।

গায়ক তপু স্বনামে অভিনয় করেছেন, তাই তার অভিনয়কে মোটেই অভিনয়সুলভ লাগেনি। প্রতিদিন যা করেন তেমনই করেন, হয়তবা গোপন ক্যামেরা দিয়ে তার দৃশ্যগুলো টেক করা হয়েছে, এমনটাই ধারণা হতে পারে। সেদিক থেকে দেখলে তার অভিনয় ঠিকই আছে। তবে সিনেমাটাকে শক্তিশালী করার জন্য গায়ক চরিত্রে কোন পেশাদার অভিনেতাকে নিলেই ভাল হত। কারণ, এই চরিত্রটায় অনেক কিছু করবার ছিল, তপুর আড়ষ্টতায় সেটা একটা বৃত্তে আটকা পড়ে গেছে।

অস্থির ছোটাছুটি, পুশআপ দেয়া, ক্ষণে ক্ষণে তিশার দরজায় নক করা, দোকানে কন্ডম কিনতে গিয়ে সংকোচে ওয়ারস্যালাইন কেনাসহ তার চরিত্রটায় কাজ করার এত সুযোগ ছিল যে, এই জায়গাটা নিয়ে আফসোস হতে বাধ্য। সবশেষে, তিশা। তার সংলাপগুলো অধিকাংশই ফারুকী প্রভাবিত নাটক ঘরানার হলেও তার অভিনয় প্রশংসনীয়ই বলব। মাল্টিপল পার্সোনালিটির উপস্থাপনটা এ সিনেমায় একটা উল্লেখযোগ্য দিক; লেখক ইমদাদুল হক মিলনের মেয়ে এখানে বেশ সাবলীল, ক্ষেত্রবিশেষে তিশার চেয়েও তাকে কমিটেড মনে হয়েছে। সবমিলয়ে এই হচ্ছে সিনেমা।

একটা সিনেমা থেকে আমাদের প্রত্যাশা কী, বা ভাল সিনেমা বলতে আমরা কী বুঝি? এই প্রশ্ন করলে শতকরা ৯৫ভাগ মানুষই হয়ত কোন গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে পারবেনা, আমিও এই ৯৫ ভাগেরই দলে। তাই এই প্রশ্নগুলোর ব্যবচ্ছেদে কোন সদুত্তর হয়ত আমি পাবনা। তবে সিনেমার মেকিং, এবং আবহসঙ্গীতগুলো আলাদা করে চোখে পড়বেই। কামতাড়িত তপুর পুশআপের সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে 'চল চল উর্ধ্বগগনে বাজে মাদল"মিউজিকে দেয়াটাকে দুর্দান্ত একটা আইডিয়া মনে হয়েছে। আরও একটা দৃশ্য আছে, তিনটি ভিন্ন বয়সের তিশা মায়ের হাতে ভাত খাচ্ছে; এই দৃশ্যটা পরিচালকের উদ্ভাবনী ক্ষমতারই বহিপ্রকাশ।

তবে ছবির শুরুটা ভীষণ আনাড়ি মনে হয়েছে। ঐভাবে দাঁড়িয়ে থাকা, তরুণদের পিছু নেয়া, ছুটতে গিয়ে পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত হওয়া সীমা চৌধুরীর বিবেক জাগানো এটা একটা সিনেমার শুরু হিসেবে যথেষ্টই দূর্বল, তার উপর ছবিটার বাকি অংশে যদি অভিনভত্ব থাকে, সেক্ষেত্রে শুরুর দুর্বলতাটা বেশি চোখে পড়ে। ছবির নাম শুনে অনেকেই এর তাৎপর্য খুজতে শুরু করবেন। আমিও নিজের মত করেএকটা তাৎপর্য বের করে নিয়েছি ছবিটা দেখে। প্রতিটা মানুষই আসলে দ্বিধাগ্রস্ত- নিজেকে নিয়ে , অন্যকে নিয়ে তো বটেই।

তাই সে নিজে বাদে বাকিরা তার কাছে থার্ড পারসন। আর অন্যভাবে দেখলে, সেই থার্ডপারসনটা আসলে একটা ধারণার নাম, যাকে আমরা সন্ধান করি, কিন্তু কখনই পাইনা। আর সিনেমার দৃষ্টিকোণ থেকে, তপু, তিশা, মোশারফ, তিনজন মানুষ, অথচ নিজেদের অবস্থান ছেড়ে আরেকটা অবস্থানে তারা যেতে পারছেনা। তাই তিনজস মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তারা কোন সমষ্টি হয়ে উঠতে পারেনি, বিচ্ছিন্ন এবং স্বতন্ত্র; তিনজন মিলে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার। সিনেমার সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয়টা হল চরিত্রগুলোর অগভীরতা এবং কাহিনীর অস্থিতিশীলতা।

কোন চরিত্রই সেভাবে জমাট বাধেনি, এই না জমাট বাধাটা একটা আলাদা মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। ছবিটা ভাল লেগেছে, নাকি মন্দ লেগেছে সেটা আমার কাছে গৌণ; ছবিটা আমাকে ভাবিয়েছে। একটা ছবি থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটা বোধহয় সমীচীন হবেনা। । ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।