অনুচ্ছেদ
।১।
যুবতীকে কেউ দ্যাখেনি,
যুবক সারাটা দুপুর রাস্তার ধারে,
তার বুকপকেটে আগলানো চিঠিখানা
উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার ঘামে ভিজে উঠেছে,
সস্তা কলমের কালি, জড়ানো হাতের লেখা
যুবকের বুকের কম্পন ;
অজস্র ভুল বানানের মাঝে -
ভালবাসি শব্দটাই অনায়াসে
পড়তে পারে যুবতী,
ঠোঁটখানা হালকা বাঁকায় সে,
বুকের ভেতরটায় কী যে হচ্ছে
স্বয়ং ঈশ্বরও জানেন না,
আলগোছে হাতব্যাগের ভেতর,
নানান জিনিসপত্রের সাথে
মিশে যায় চিঠিখানা ।।
।২।
রেস্তোরাঁ উপচে পড়া ভীড়,
মুখোমুখি যুবক-যুবতী...
যুবতী বলল -
পরশু আমার বিয়ে
লক্ষীটি হয়ে আসবে,
হালকা সবুজ রং-এর মাঝে
হালকা প্রিন্টের একটা শাড়ি
আমার চাই-ই চাই,
নাকী তা-ও পারবেনা...
যুবক মাথা নীচু করে
ছুরি দিয়ে কাটলেট কাটে,
কেবল কাটে, আবার কাটে,
কাটতেই থাকে...
যুবতী আবার বলে -
একী খাচ্ছ না কেন ..
যুবক একবার মাত্র তাকায়
হাসার চেষ্টা করতে করতে বলে-
কাটলেটটায় ঝাল বড় বেশি
খাওয়া যাচ্ছে না..
যুবতী পানির গ্লাস এগিয়ে দেয় ।।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।