আমরা যারা দক্ষিনবঙ্গের মানুষ তাদের জীবনে পাটুরিয়া - দৌলদিয়া ফেরিঘাট এক দূর্বিসহ নামে পরিনত হয়েছে। গতকাল খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। টিকেট কাটা ছিল সকাল সাড়ে দশটার গাড়িতে। কাউন্টারে পৌছে জানতে পারলাম আমরা যে গাড়িতে যাব সে গাড়ি তখন ও ঢাকা থেকে খুলনায় পৌছেনি ফেরিঘাটে জ্যামের কারনে, আর ও ঘন্টা দেড়েক লাগবে গাড়ি পৌছাতে, এদিকে ঘড়িতে ১০ টা ৩০ বাজার সংকেত। যাই হোক বেলা ১২ টায় আমাদের গাড়ি খুলনা ছাড়ল, যশোর মাগুরা পার হলো দেখতে দেখতে তারপর ৩টা ১৫ তে আমরা দৌলদিয়া ঘাটের কাছাকাছি এলাম এবং সামনে সমানে গাড়ির লাইন।
বাস থেকে নেমে একটু তাকাতেই পিলে চমকে গেল। সামনে কমপক্ষে একহাজার গাড়ি আর আমরা ঘাট থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে আছি।
এরপর শুরু হলো অপেক্ষার পালা, অপেক্ষা করছি আর মুহুমুহু বাসা থেকে আব্বু আম্মু আর ঢাকা থেকে দূর্ভাষীর ফোন। অপেক্ষা করতে কার ভালো লাগে বলেন, আর তার উপর মোবাইলে লাইভ আপডেট জানানো কতটা বিরক্তিকর।
যাই হোক, রাত ১১টা ১০ এ দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ৪৫ মিনিট অপেক্ষার পর আমরা ফেরি নামক কোন কিছুতে উঠতে পারলাম।
১১ টা ৪২ এ আমরা ফেরি থেকে নামলাম। মাত্র ৩০ মিনিটের ফেরি পথের জন্য প্রায় ৮ ঘন্টা অপেক্ষা! শেষ হলো।
ফেরি পার হয়ে আমাদের ড্রাইভার যেন পাগল হয়ে গেল মাত্র ১ ঘন্টায় নবীনগর পৌছালাম এবং ঠিক রাত দেড়টায় আসাদগেট। দূর্ভাষী আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল আসাদগেটে। নেমে রিক্সা করে বাসায় পৌছলাম, তবে ফেরি ঘাটের বিড়ম্বনায় রাতের ঢাকা দেখার সুযোগটা হয়ে গেলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।