আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি রনি কলকাতার ব্যান চাই না

এডিট করুন

আমি রনি কলকাতার ব্যান চাই না। আমি চাই পারলে তার কমেন্টটা হাইলাইট কইরা সবাইরে দেখানো হোক। রনি কলকাতার কমেন্টটা যে কি পরিমাণ তাৎপর্য বহন করে সেইটা আমরা কি বুঝতে পারছি? সে যে কমেন্টটা করল তা কিসের প্রতিচ্ছবি তা কি আমরা ভাবতাছি? সে এইরকম কমেন্ট করার মত মাজার জোর কোথা থেকে পায় তা কি আমরা একটু ভাবতাছি? না আমরা ঐসব ভাবাভাবি বাদ দিয়া আমাদের শেষ সম্বল মুখ অথবা কী-বোর্ড নিয়া একের পর এক পোষ্ট উৎপাদন করতেছি। যার ফলাফল হয়তো রনি কলকাতা ব্যান খাইব আর আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগব, " যা শালারে ব্যান কইরা ব্লগ থিকা বাইর করছি "। তারপর শান্তিতে ঘুমাইতে যামু।

আর কারো কারো মনে ভারত বিদ্বেষ আর একটু বাড়বে। ঘটনার ফলাফল এইখানেই শেষ। আমাদের কি আছে? কি বালডা ফালাইতাছি আমরা? আজ রনি কলকাতারা এই কথা বলার মত স্পর্ধা কোথায় পায়? আমাকে কেন আজ এই অপমান মেনে নিতে হয়? কয় পিস ফাইটার আমার বিমান বাহিনীতে আছে? কয়টা নিউক্লিয়ার মিসাইল আমার গোলায় আছে? কয়টা গবেষণা কেন্দ্র আছে আমাদের? আমাদের সমরাস্ত্রের দৌড় কতদূর? আমরা সমরাস্ত্রের জন্য কোন কোন বাবার উপ্রে নির্ভরশীল? প্রতি বছর কয়জন বাবার কাছে আমরা ভিক্ষার জন্য হাত পাতি? কয়জন বাবা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে মুখের উপ্রে না বলবে আরো? কয়জন দাতে দাত কামড়াইছেন নিজের সবুজ পাসপোর্টটার জন্য? কয়জন প্রবাসী বাংলাদেশকে বিদেশীদের কাছে অবস্থান বোঝানোর জন্য "ইন্ডিয়ার পাশে অবস্থিত" একটা দেশ বলে উত্তর দেন? কি বালডা আমরা ফালাইতাছি? আমাদের জাতীসত্তা নিয়া এইধরণের উদ্ধমূলক কথা বলার জন্য রসদ কোথায় পায় একজন ভারতীয়? একজন কলকাতাবাসী, যারা আজ সর্বভারতীয় সংস্কৃতিতে কোণঠাসা, আপাত পরাধীন, অথচ ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী সে কোন খুটির জোরে এই ধরণের মন্তব্য করতে পারে? আমরা পারব তার মন্তব্যের সত্যতা অস্বীকার করতে? ভারত যদি এখন তার শত শত সুখোই-৩০ নিয়া ঢাকার উপ্রে আক্রমণ চালায় পারব আমরা সেই আক্রমণ ঠেকাতে? আজ ভারত নিজস্ব কারখানায় অত্যাধুনিক জঙ্গীবিমান বানায়, আমরা নিজস্ব কারখানায় হাড়িপাতিল বানাই। রাশিয়া তার আকাশে ভারতের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে ভারতো পালটা ব্যাবস্থা নেয়, ভারতের আকাশে রুশ বিমান নিষিদ্ধ করে। এই বছরের নোবেল বিজয়ীদের ভারতের মাটিতে জন্মগ্রহনকারী।

পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গী বিমান সুখোই পাক ফা -৫০ রাশিয়ার সাথে ৫০-৫০ পার্টনারশীপে ভারতও এখন বানাইতাছে। নাসার এন আর আই বিজ্ঞানী কয়জন? কি বালডা আমরা ফালাইতাছি? খালি ভাত কাপড়ের চিন্তা করেন তো? করেন করেন। গরীব মানুষেরো ভাত কাপড় হইলে চলে। কিন্তু যহন তার ঘর থিকা বড়লোকে জোরপূর্বক মা বোনরে টাইনা নিয়া যায় তহন সে চিল্লাফাল্লা আর অভিশাপ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। নীতির কথা শুনাইবেন? নীতি হইতাছে একটা খাটি বাল-ছাল।

দুনিয়াতে কোন শালা নীতি নিয়া চলে না। জোর যার মুল্লুক তার এইটাই হইল দুনিয়ার আসল নীতি এবং পরম সত্য, মহাবৈশ্বিক সত্য। দুর্বল বড়জোর, "আল্লায় বিচার করব" কইয়া শান্তিতে থাকতে পারে আর নিজের ভাগ্যরে দুইষা পরকালের চিন্তা করে সুবিচারের আশায়। এক রনি কলকাতারে ব্যান কইরা কোন বালও ফালানি যাইব না। সম্মানের আরেক পিঠ হইল শক্তি।

শক্তি নাই তো সম্মানও নাই। হিংস্র জানোয়ারের শক্তিমত্তার হাত থিকা বাচার জন্য মরণাস্ত্র দরকারী। ভাত কাপড় আর শান্তির ঘুমের চিন্তার আগে ভাত কাপড় আর শান্তির ঘুমের নিরাপত্তার চিন্তা আগে দরকার। ভারতের আজকের এই স্পর্ধা যারা গড়েছেন, তাদের একজনের বই থিকা আমি দুইটা লাইন লেখতে চাই। "যখন তুমি নেহাই, সহ্য কর, যখন তুমি হাতুড়ি, আঘাত কর।

" রনি কলকাতা, এই দিনই শেষ দিন না, আয়তনই বড় কথা না, আমি না পারলেও আমার পরের জনের আঘাত থিকা বাচার প্রস্তুতি নিয়া রাইখ। তোমার মন্তব্যটা আমার মনে থাকব, আমার পরে যে আইব তারও মনে থাকব। এহন খালি দাত কামড়াইয়া সহ্য করতাছি কিন্তু আমরা যখন হাতুড়ি হব তার আঘাত তোমাদের সহ্য করতে হবে। বাংলাদেশ কবে পারমাণবিক বোমা বানাবে????????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।