২০০১ সালে জীবনের প্রথম ভোট দিয়েছিলাম বি.এন.পি কে। আওয়ামীলীগের ক্ষমতাকালীন সময়ের আচরন আর উদ্ধত বক্তব্যের কারনে পছন্দ করতাম না দলটিকে। মাঝখানের দুই বছরের অন্তর্বতিকলীন সরকারের সময় সব রাজনৈতিক দল ও ব্যাক্তির অবস্থা দেখে বেশ হতাশ হয়েছিলাম। কিন্ত তার চেয়েও বেশী হতাশ আর অবাক হয়েছিলাম ইলেকশান পূর্ববর্তি বি.এন.পির ঔদ্ধত্ত্য দেখে। আওয়ামীলীগকে তখন ভালো লেগেছিল তাদের পরিবর্তিত হবার আগ্রহ আর নিজেদের ভুল স্বীকার করে ভাল কিছু করার প্রতিশ্রুতির কারনে।
তার থেকেও বড় যে কারনে আওয়ামীলীগকে গত ইলেকশানে ভোট দিয়েছিলাম তা হলো - এটা নিশ্চিত করা যেন বি.এন.পি কোনভাবেই না আসে। নিতীগত পরিবর্তন না আসলে তাদের আর ক্ষমতায় আসা ঠিক হবে না - এই ছিল আমার তখনকার ভাবনা।
গত চার বছরে বি.এন.পি পাল্টায়নি এতটুকু। ফলাফলটা ভয়াবহ। দলটা বিলুপ্তির পথে।
শেষ কিছুদিন তো তাও জামাতের অংগ সংগঠণ হিসাবে বেচে ছিল। কিন্তু জামাত এখন মৃত্যুপথযাত্রী। বি.এন.পির কি হবে?!
বি.এন.পির এই দুর্দশা দেশের জন্য খুব ভাল হল কি না বলতে পারছি না। কিন্তু গত কয়দিনে বি.এন.পি. নিজেকে একটা কৌতুকে পরিনত করেছে। স্ব-সংশোধন এবং সময়ের সাথে এগিয়ে না যাওয়ার ঔদ্ধত্ত্য অনেক মূল্য দিয়ে শোধ করতে হতে পারে বি.এন.পি কে।
জনগণ এবং জনমত উপেক্ষা আর সময়ের বিপরিতে চলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে শেষ রক্ষা হ্য়তো নাও হতে পারে। তবে বি.এন.পির এই আচরনে আমি সত্যিই দুঃখিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।