অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামীদের মৃত্যুদন্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিকট অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অ্যামনেষ্টির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌসূলী আনিসুল হকও অ্যামনেষ্টির বিবৃতি প্রকাশে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আর্টিকেল, ব্লগ লিখছেন অ্যামনেষ্টির বিরুদ্ধে।
কিন্তু অ্যামনেষ্টির দোষটা কোথায়? অ্যামনেষ্টির বাংলা অর্থই সাধারণ ক্ষমা।
এ সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের দৃষ্টিতে, মৃত্যুদন্ড একটি নিষ্ঠুর ও অমানবিক কাজ। তাই বিশ্বের যেকোন দেশের বিচারে কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলে তারা বিবৃতি প্রদান করে থাকেন। এটা তাদের মূল কাজ। তাদের কাজ তারা করবে না?
অ্যামনেষ্টির দোষটা কোথায়? বরং আমরা অযথা মন্তব্য বা লেখালেখি করে এ বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার দরকারটা কি? অ্যামনেষ্টির কাজ অ্যামনেষ্টি করুক।
আমাদের কাজ আমরা করবো। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস ভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দেওয়া ছাড়া অন্য কোন চিন্তা বা ভাবাবেগকে প্রশ্রয় দেওয়া কোন বাঙ্গালীর পক্ষেই সম্ভব নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।