আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুমিলায় চাঞ্চল্যকর খোকন হত্যাকান্ড মামলায় ৯ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কুমিল্লার খবর জানাতে এসেছি

গতকাল ২৩ নভেম্বর সোমবার কুমিল্লার ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ বেগম হাসিনা রৌশন জাহান জনাকীর্ণ আদালতে কুমিল্লা অজিতগুহ মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ডিজিএস ও শহরতলীর গাংচর এলাকার মৃত আলফু মিয়ার পুত্র খোরশেদ আলম খোকন হত্যা মামলায় ৯ আসামীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় হয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামীর মধ্যে ৩ জন পলাতক রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় ছাত্রনেতা খোরশেদ আলম খোকন বন্ধু-বান্ধবসহ রিকশাযোগে তার বাড়ি হতে আনন্দপুরে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে শহরের তেলীকোনা এলাকায় পৌঁছামাত্র কাটাবিলের নুরে আলম ও তার সঙ্গীয়রা অস্ত্রশস্ত্রসহ তাদেরকে ঘেরাও করে খোকনের নিকট টাকা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় এক পর্যায়ে নুরে আলম খোকনের বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং অন্যান্যরা খোকনসহ সঙ্গীয়দের ছেনি, দা ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ সময় তারা খোকনকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তার মৃতদেহ ডাস্টবিনে রেখে পালিয়ে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনায় খোকনের ভাই সেলিম বাদী হয়ে নূরে আলমকে আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই গৌতম কুমার সাহা ’৯৬ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। অভিযুক্ত আসামীরা হলো নূরে আলম, জালাল, আলমাস, হোসেন, ইব্রাহিম, মানিক মিয়া, গোলাম হোসেন বাবু, কবির হোসেন কপু ও তাহের মিয়া। দীর্ঘ ১৩ বছর পর বিজ্ঞ আদালত আসামী বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেকে ৬ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ করে।

উলেখ্য, চাঞ্চল্যকর খোকন হত্যাকান্ড মামলার ১নং আসামী মাদক ব্যবসায়ী নূরে আলম অপর একটি মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এবং র‌্যাব ও পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও আসামী জালালের বিরুদ্ধে ১০টি, কবির হোসেন কপুর বিরুদ্ধে ৪টি, আলমাসের বিরুদ্ধে ৩টি, মোঃ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪টি ও গোলাম হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। নৃৃশংস হত্যার শিকার ছাত্রনেতা খোকনের স্ত্রী রুমা ইসলাম আসামীদের ফাঁসির দাবী জানালেও তিনি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তার একমাত্র ছেলে খায়রুল আলম রাব্বী ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।

রাষ্ট্রপে মামলা পরিচালনা করেন অতিঃ পিপি এডভোকেট রেজ্জাকুল ইসলাম খসরু, খোকনের বন্ধু শরিফুল ইসলাম ও শাহনাজ মজুমদার এবং আসামী পে ছিলেন এড. সৈয়দ আবদুলাহ পিন্টু, রফিকুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।