আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এথিক্স আর মেটা-এথিক্সে বন্দী আমার জীবন

আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।

অনেকদিন যাবত মেটা-এথিক্সের কাঠ-খোট্টা বই পড়ে যাচ্ছি। মোটের উপর একখানা বই তার উপর নির্বাচিত চ্যাপ্টার। এথিক্সে এক সময় ব্যাপক আগ্রহ ছিলো। এথিক্সের বই খুজঁতে গিয়ে মোজাম্মেল স্যারের মতো চমৎকার মানুষের সাথে দারুন ভাব হয়ে গিয়ে ছিলো।

যার নাম্বার আমার মোবাইলে গুরু নামে সেইভ করা আছে। যদিও মনে হয় না, আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে এতো মহৎ কিছু অর্জন সহজ না। সে যাইহোক, এথিক্স আমার মতে ধর্ম নির্ভর। এই নির্ভরতা ছাড়া এর কোন ব্যাখ্যাই যেন হালে পানি পায় না। ধর্ম বাদ দিলে বাকি থাকে একধরনের সুশীলতা।

সুশীলতা আবার নানা ধরনের শ্রেণীগত বিভেদ তৈরী করে। যাতে মারাত্বক অহংকার থাকে। যা ধর্মীয় অহংকারের' চে ভয়ংকর। যা আবার এথিক্সের কাম্য নয়। কোন মানদন্ডের ভিত্তিতে সামাজিক মানুষের ঔচিত্য অনুচিত্য নিয়ে এথিক্সের আলোচনা।

আকারটা আদর্শনিষ্ট। অন্যদিকে মেটা-এথিক্স হলো শব্দগত বিচার বিশ্লেষণ, ফ্যাক্টস আর বর্ণনার যে প্রভেদ তার সুক্ষ্ণ তারতম্য খুঁজে বের করা। বাইরে থেকে ভালো কিন্তু বিশ্লেষণের যে জটিলতা, তা যেন বারবার চোরা কাদায় ফেলে। সর্বশেষ যে পাকে পরলাম, তা হলো ডেভিড হিউম কেন নৈতিকতাকে ভালগার সিস্টেম বলেছেন এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। এথিক্স ভালো লাগার পেছনে প্রথম কারণ, আগে নিজেকে ভয়ংকর ধরণের নীতিবাগিশ মনে করতাম।

ভাবতাম, নীতিবান হবার জন্য এর দরকার আছে। এখনও যে মনে করি না, তা নয়, তবে এইটুকু বুঝতে সময় দিই, ঘটনা কি? কে করলো? কেন করলো? এইসব ভাবলে দেখি বেশীরভাগ অপরাধীর অপরাধ অর্ধেক মাপ। আমার মনে হয়, ভয়ংকর ধরণের নীতিবাগিশতা একধরনের কুসংস্কারের মতো। তাদের ভালো মন্দ বোধ নির্দিষ্ট স্থরে আটকে থাকে। সময় তাদের অনেক সুযোগ দেয়, তারা তা বুঝে না।

একসময় নিজের ভেতর শামুকের মতো খোলস আবদ্ধ হয়ে যায়। এথিক্স ভালো লাগার আরেকটি কারণ হলো, মানুষ কেন সামাজিক হয়ে উঠবে? এই প্রশ্ন থেকে। মানুষ যতই প্রয়োজনকে বেশী গুরুত্ব দিক, মানুষের মধ্যে সকলের জন্য ভাবা'র দিকটা একদম জন্মগত। এইবোধের বড় স্থান মনে হয়- কেন মানুষ রাজনীতি করে। এই বিবেচনায় দেখা যায়, মানুষ সমাজকে একদম উল্টে পাল্টে দিতে পারে।

তা-কেন? মানুষের ভেতর সাম্য প্রতিষ্টা করা। আর যদি নীতিবাগিশতা অপক্ক স্থরে সে আটকে থাকে তবে মহত্তর সামাজিক বিপ্লবের মধ্যেও ভয়ংকর অন্যায় সে খুঁজে পাবে। আর সমাজে এই ধরনের মানুষ বেশী হলে তো কথায় নাই- তারা নীতির স্থরে সবাইকে দম আটকে মারার চেষ্টা করে। এতে নিজেকে প্রকাশের, চে ছদ্মবেশ বেশী্। এবঙ এই নীতিবোধ নানাভাবে নানা বিষয়ে তৈরী হতে পারে।

যেমন- কেউ নৈতিকভাবে বিজ্ঞানের পূজো করে অথবা ধর্মীয়ভাবে একরোখা থাকা। মেটা-এথিক্সের যে শব্দগত বিশ্লেষন তাতে একটা ধাঁধা তৈরী হয় , তাহলো- কোন কিছু হওয়া থেকে তা কি প্রকারে হওয়া উচিতে পরিণত হয়। বিষয়টা একেবারে গুণগত। কিন্তু আমাদের চিন্তা এবঙ চিন্তার কর্ম এর যে রূপান্তর ঘটায় তাকে এই বিশ্লেষনের মধ্যে ধরা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন বিষয়টা ভয়ংকরভাবে যুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে।

তাই এখানে নায্য অনায্যের ধারনায় মারাত্বক গলদ তৈরী হয়, এটা যে বর্ণনা নির্ভর সাধারণ এথিক্সে নাই তা নয়। ফলে সাময়িক তুষ্টির স্থানটিও যুক্তির প্রয়োজনে অপরিহার্য হয়ে উঠে। তাছাড়া অধিবিদ্যার মতো মৌলিক অনুসন্ধান এর দ্বারা নাকচ হয়ে যায়। আবার অপরদিকে, মানুষের সকলধরনের প্রকাশকে কাঠামোবদ্ধ করার দুলর্ভ এবঙ রহস্যের প্রচীরে হানা দেবার অভিযান জমে উঠে। যাইহোক............................. কি লিখলাম ইহা, কি লেখার ইচ্ছে ছিলো আমার আল্লায় জানে।

আগামী দু'হপ্তা নেটে বসার সুযোগ থাকবে না। সে পয্যন্ত সবার জন্য শুভ কামনা। ......................এবঙ ঈদ মুবারক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.