অর্তকিতে বইটি হাতে এসেছিল। আমরা তখন রবীন্দ্র সদনের নন্দনে'গ্লাডিয়েটর' ছবিটা দেখছিলাম। অরিন্দম নিয়োগী বলে এক কবি বন্ধুর হাতে দেখেছিলাম বইটি। সেটার প্রচ্ছদ পড়ে আমি অভিভুত। আসলে এই ক্রীতদাসদের বিষয়টা নিয়ে আমি সবসময় আগ্রন্বিত ছিলাম।
তাকে কথা দিলাম মাত্র একটি রাত। আমি তখন থাকতাম মহাবোধি সোসাইটিতে। সে সময় কলকাতায় প্রচন্ড গরম পড়ছিল। জানলাগুলো খুলে দিয়ে খুব দ্রুত আমি বইটা পড়ে চলি। হ্যালীর গতির চেয়েও আমার গতি ছিল বেশী।
এই বইটি পড়লে যে কেউ নিজেকে অপরাধী ভাববে। অন্তত একবার শাদা মানুষদের জন্য প্রার্থনা করবে। কেননা তাদের পাপ কিংবা অপরাধ এত মারাত্মক যে তাদের কোনো আদালতেই ক্ষমা করবেনা। কত চমৎকার থাকতো এ উপন্যাসের নায়ক কুন্টা কিন্টোরা আফ্রিকায়। কি চমৎকার দুরন্তপনায় ভরা ছিল তাদের শৈশব কৈশোর।
নৈতিকতা এর আন্তরিকতায় ভরা এক জগত। কিন্তু শাদা মানুষের তাদের কে ধরে নিয়ে আসতে লাগল দলে দলে। হত্যা করতে লাগল। জাহাজে পচিয়ে মারতে লাগল। কি বিভৎস।
ক্রীতদাস হিসাবে তাদের বিক্রি করতে লাগল। আর ক্রীতদাসদের ওপর চলতে লাগল অবর্ণনীয় নির্যাতন। পড়তে পড়তে বিহবল হয়ে যেতে হয়। আমাকে সবচাইতে শরবিদ্ধ করে ক্রীত দাসদের ওপর যৌন নির্যাতন। সব কিছু মিলিয়ে আলেক্স হ্যালী তার শিকড়ের দিকে যাত্রা করেছেন এ উপন্যাসে।
যিনি কিনা সেই কুন্টাকিন্টোরই বংশধর।
খোলাসা হয়ে যায় তথা কথিত পাশ্চাত্য সভ্যতার খোলস। কত রক্ত আর কত কান্নার ওপর তারা গড়ে তুলেছে এ দানবীয় সাম্রাজ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।