নদীপথে ভ্রমণকালে তুমি কিঞ্চিৎ ডানপাশে ঘুরিয়ে রেখেছিলে তোমার বাদামির কাছাকাছি গাল।
একটু রোদ, একটু ছিলো ছায়া। মেঘঘন মায়া।
তুমি নস্ত্রাদমাস হয়ে উঠেছিলে হঠাৎ; বললে-বৃষ্টি হবে আজ! অথচ শুধু রোদ শুধু ছায়া
তোমার মুখে ছুঁড়ে দিলো উপহাস।
মাঝির সাথে কথা বলতে আমার ইচ্ছে হয়নি।
আকাশ কিংবা পক্ষীকূল দেখাটাও ছিলো শ্রম ও শক্তির।
তাই তোমাকে দেখলাম- বাদামির কাছাকাছি গাল।
একটা জাগরণ, যাকে তুমি বলো ঘোরভাঙ্গা আলোড়ন- ঢেউ হয়ে, সপ্তস্বরা আনতে চাচ্ছিলো
আমার জ্ঞানশূণ্য হৃদয়ে- যদিও শতাব্দীর প্রথম প্রেমিক হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আমার,
তবু কিছুটাতো ব্যাকুল কিছুটাতো মায়াময় ছিলাম। তাই আলসেমি করে তোমার হাত ধরা হয়নি।
গালে বসে থাকা মৌমাছিকে মনে হয়েছে কোনো জুয়েলারি, কোনো অর্নামেন্টস-
তুমি কি লিপলাইনার ব্যবহার করেছিলে সেদিন?
স্মৃতি আসে- স্মৃতি বিস্মৃত হয়।
সূর্য ঢলে পড়ে তো পড়ে না।
‘হেই মাঝি তুমি আমার পাশে এই বাদামিবালিকাকে দেখো’-
কেমন পীতধূসর ক্যানভাস, চকোলেট রঙ, একটা মেঘ একটা কাগজ।
নেই কোনো মেহেন্দি। নেই সিন্দুরের কাছাকাছি কোনো অন্ধকার, চোখের ধূপছায়া গভীরতা নেই।
তাই কি সরলতা
ডুবে গেলে তুমি?-
সূর্যের সাথে তোমার গোপন বন্ধুত্বের কথা জানা ছিলো না আমার! জানা ছিলো না
সব পশ্চিম তোমার দখলে! সব পূব, উত্তর-দক্ষিণ এখন সংরক্ষিত এলাকা-
কলোনী: ৩ ২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।