ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার সীমানায়
কোথায় মানবাধিকার কর্মীরা এখন? জানি আপনাদের উচ্চকন্ঠ এখন ভেড়ার মত ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছে পশ্চিমা আব্বাহুজুরদের সমর্থনে। লোকমান আমীন আবদুল্লাহ (৫৩) কোন সন্ত্রাসী না হয়েও বিনা বিচারে মারা পড়লেন। তাঁর অপরাধ-তিনি ইসলাম কায়েম করার স্বপ্ন দেখছিলেন। না, অবশ্যই তা দেখা যাবেনা!
যুক্তরাষ্ট্রের একজন সুন্নি মুসলিম নেতা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এফবিআই বলেছে, লোকমান আমিন আব্দুল্লাহ নামের ওই মুসলিম নেতা যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করছিলেন।
তিনি ‘উম্মা’ নামের একটি সংগঠনের নেতা ছিলেন।
মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট সিটিতে গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
তাকে কেন সন্ত্রাসবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়নি বা যায়নি-এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিশিগানের অ্যাটর্নি টেরেন্স বার্গ বলেন, "এ অভিযোগগুলো থেকেই সবকিছু স্পষ্ট। "
শহরের অদূরে যেখানে আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেটি ছিল তার পণ্য গুদাম।
সেই একই গল্পঃ অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফবিআই লোকমান আমিন আব্দুল্লাহ ও তাঁর ১০ অনুসারীকে গ্রেপ্তার করতে বিশেষ অভিযান চালায়।
কিন্তু লোকমান আমিন আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান। বরং এফবিআই সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। জবাবে এফবিআই সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। এতে লোকমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে এ ঘটনায় অন্য কারও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পরে তাঁর ১২ অনুসারী গ্রেপ্তার হন।
এফবিআই বলেছে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে লোকমান আব্দুল্লাহর নাম ছিল ক্রিস্টোফার টমাস। সরকারবিরোধী হিসেবে তিনি সব সময়ই সোচ্চার ছিলেন। কারাবন্দী কৃষ্ণাঙ্গদের অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তাঁর অনুসারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে শরিয়া আইন প্রবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নাগরিক অধিকারবিষয়ক সংস্থা আমেরিকান ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক দাউদ ওয়ালিদ এফবিআইয়ের হাতে লোকমান আব্দুল্লাহর নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, লোকমান ইব্রাহিম ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম নেতা। তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে মুসলিম সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, লোকমান ছিলেন একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ। কোনো ধরনের জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।